এই মুহূর্তে




পুজোর আনন্দ উধাও, সব হারিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকেই দূরের মণ্ডপ থেকে ভেসে আসছে ঢাকের আওয়াজ। অন্যান্যবার পুজোমণ্ডপেই ভিড় জমাতেন সকলে। কিন্তু এবার ছবিটা বদলে গিয়েছে। বাড়িঘর গিলে খেয়েছে গঙ্গা। সব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad District) জঙ্গিপুর মহকুমার সামসেরগঞ্জের(Samserganj) ভাঙন(Ganga Erosion) কবলিত গ্রামগুলির বহু বাসিন্দা।  কার্যত তাঁদের জীবন থেকে পুজোর আনন্দটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। কোনওরকমে দু’মুঠো মুখে দিয়ে দিন কাটছে তাঁদের। অনেকের আবার রান্নার কোনও ব্যবস্থাই নেই। শুকনো খাবার বা লোকের দেওয়া খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কার্যত ভাঙন দুর্গত মানুষের দুর্দশার অন্ত নেই। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের শুকনো খাবার ত্রিপল ও কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।

আরও পড়ুন, দমবন্ধ করা ভিড়, ভিড় সামলাতে বিশেষ নিরাপত্তা-ব্যবস্থা কলকাতা মেট্রোয়

গত প্রায় মাস দুয়েক ধরে অবিরাম ভাঙন চলছে। বহু কাঁচাপাকা বাড়ি গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। গঙ্গা কেড়ে নিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। চোখের সামনে আস্ত বাড়ি, চাষের জমি, বাগান তলিয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা। সব হারিয়ে অসহায় সামশেরগঞ্জের লোহরপুর, শিবপুর, চাচণ্ড ও শিকদারপুরের হাজার হাজার বাসিন্দা এখন চোখের জল মুছছেন। পরিবার নিয়ে অনেকে আত্মীয় বা পরিচিতের বাড়ির উঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকের আবার সরকারি স্কুলে আশ্রয় জুটেছে। যাদের ঘর এখনও তলিয়ে যায়নি তাঁরা ইট, দরজা-জানালা ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাতে অন্যত্র আশ্রয় নিলেও দিনেরবেলা ঘরে এসে থাকছেন অনেকে। এদের জীবন থেকেই পুজোর আনন্দটা উধাও হয়ে গিয়েছে। কীভাবে কোথায় মাথা গুঁজবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন, ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

ভাঙনের জেরে সর্বহারা হওয়া মানুষদের দাবি, ‘প্রশাসন পুনর্বাসনের(Rehabilitation) ব্যবস্থা করুক। সরকার আমাদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করুক। সরকার কিছু একটা ব্যবস্থা করুক।’ এই সব মানুষগুলিদের বেশিরভাগই সব হারিয়ে বসে আছেন। কেননা তাঁরা হাতে সেই সময়টুকুও পাননি, যে ঘরের জিনিসপত্র সরাতে পারবেন। এরা শুধুমাত্র কয়েকটা কাপড়চোপড় হাতে করে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বাড়ি থেকে। এখন সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। কী করবেন, কোথায় যাবেন, কীভাবে বাঁচবেন সবটাই চূড়ান্ত অনিশ্চিত। ভাঙনে যে শুধু ঘ্র-বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে তাই নয়, তলিয়ে গিয়েছে বড় বড় গাছ, এলাকার প্রচুর চাষের জমিও। সামসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মানুষের দুর্দশার অন্ত নেই। যাদের মাথা গোঁজার আশ্রয় চলে গিয়েছে তাঁদের সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। সাধ্যমতো আমরা তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে

ভাঙড়ে আবাস যোজনার ঘরের সার্ভেকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত একাধিক

কৃষ্ণনগরের বুড়িমার কাছে পুষ্পাঞ্জলি দিতে চান ? জেনে নিন সময়… 

রেশন নিয়ে বচসা,গ্রাহকের মারে মৃত্যু রেশন ডিলারের

হাওড়া – বর্ধমান কর্ড শাখায় ১০০ ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেল

শীতলকুচিতে লক্ষী ভান্ডারের টাকা তুলতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ গৃহবধূ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর