নিজস্ব প্রতিনিধি: গত কয়েকমাস ধরে জলপাইগুড়ি জেলাতে করোনা আক্রান্তের তেমন কোনও খবর ছিল না। রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল। কিন্তু গত রবিবার আচমকাই জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রীতিমতে নড়েচড়ে বসে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। রোগী হোম আইসোলেশনে থাকায় সোমবার দুপুরে করোনা আক্রান্তের বাড়িতে টিম নিয়ে যায় জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পুরো বাড়িটিকে স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি বাড়িটিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে আসেন।
সৈকতবাবু বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে তেমনভাবে করোনা আক্রান্তের খবর ছিল না। তবুও আমাদের নজরদারি চলছিল। গতকাল পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আজ আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে আক্রান্তের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করে তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে গেলাম। বাড়িটি স্যানিটাইজ করে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় পর মানুষ মাস্কের ব্যবহার একেবারে কমিয়ে দিয়েছে। তবে এটা ঠিক নয়। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। রোগীর সংখ্যা বাড়লে ফের বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে’।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য গত কয়েকমাস ধরে তেমনভাবে করোনা আক্রান্তের খবর না থাকায় জলপাইগুড়িতে করোনা হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ১০ শয্যার দু’টি কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।