এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মোর্চা থাকছে পাশে, শিলিগুড়ি নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিলিগুড়ি, উত্তরবঙ্গের একমাত্র পুরনিগম ও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর। অনেকেই একে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার বলেও চিহ্নিত করে থাকেন। সেখানেই আগামিকাল ভোট দেবেন শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কার্যত তাঁদের ভোটেই ঠিক হবে আগামী ৫ বছর এই পুরনিগমের ক্ষমতা কোন দলের হাতে থাকবে। এ শহরের রাজনৈতিক চরিত্র বরাবরই তৃণমূল বিরোধী। একসময় এই শহর ছিল লালদুর্গ। কিন্তু পরিবর্তনের পর থেকেই সেখানে ভাটা পড়েছে। যদিও তাতে লাভ হয়নি তৃণমূলের। বরঞ্চ তৃণমূল বিরোধী ভোট জড়ো হয়েছে বিজেপির বাক্সে। তার জেরেই উনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই শহরে জয়ের মুখ দেখেছে তাঁরা। এবারেও তাঁরা বেশ আশাবাদী যে পুরনিগম তাঁদের দখলেই যেতে চলেছে। আশা রাখছে তৃণমূলও। কেননা মোর্চা ও গুরুং তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। ২০১১ সালের পরিবর্তনের পরে তৃণমূল একক শক্তিতে এখনও পর্যন্ত এই পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। এবারে কিন্তু তাঁরা বেশ আশাবাদী।

বিজেপি এবারে শিলিগুড়ির দখল নিতে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মেট্রো রেল চালু থেকে শুরু করে কেন্দ্রের টাকায় শহরে একাধিক প্রকল্প গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছে তাঁরা। একই সঙ্গে সেখানে বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতাকে নামানো হয়েছে পূর্ণ দমে প্রচারের জন্য। তৃণমূল সেখানে কিন্তু বাংলায় চালু প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ছবি তুলে ধরেই শহরের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে। তাঁদের এবার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং ও দলের অন্যতম মাথা রোশন গিরি। তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে মোর্চা এবারে শুধু যে শিলিগুড়িতে কোনও প্রার্থী দেয়নি তাই নয়, শহরে বসবাসকারী গোর্খা সম্প্রদায়্বের মানুষদের তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন গুরুং। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় গুরুং শিলিগুড়ি শহরে বসবাসকারী গোর্খা জনজাতির মানুষদের উদ্দেহস্যে বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে গোর্খা সম্প্রদায়কে বলব আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির পুরভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করতে। আমরা যাতে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তরাই, ডুয়ার্স-সহ পাহাড়ে যে সব সমস্যা রয়েছে তার রাজনৈতিক ভাবে সমাধান করতে পারি এবং আমাদের যত সমস্যা আছে তা ভবিষ্যতে সমাধানের জন্য যাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাই গোর্খারা যেন তৃণমূলকে ভোট দেন।’

তবে ভোট বিশেষজ্ঞদের ধারনা, শিলিগুড়ির ফলাফল কার্যত ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে। আর সেক্ষেত্রে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বাম-কংগ্রেসের ভূমিকা। রাজ্যে পরিবর্তনের পরেও তৃণমূলকে ঠেকাতে হাতে হাত মিলিয়ে শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড চালিয়েছে বাম-কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৮ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই শহরে বিজেপির উত্থানে দুই দলেরই ভোট কমেছে দ্রুত হারে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তো রাজ্যের বিধানসভা থেকেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে দুই দলই। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, শিলিগুড়ির পুরভোটে এতটা নিরাশজনক ফল করবে না বাম-কংগ্রেস। বরঞ্চ ত্রিশঙ্কু পুরসভা হলে তাঁরাই হয়ে উঠতে পারে ‘কিংমেকার’। তবে সেক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় বিজেপিকে ঠেকাতে তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন দেয় নাকি তৃণমূলকে ঠেকাতে বিজেপিকে সমর্থন করে, সেটাই দেখার। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিজেপি যতই একক ক্ষমতায় শিলিগুড়ি পুরবোর্ড দখলের দাবি করুক না কেন, একুশের ভোটের পরে শিলিগুড়িতেও বিজেপির প্রতি সমর্থন কমেছে। শহরের মানুষ এখন আর অন্ধ তৃণমূল বিরোধীতা করতে গিয়ে বিজেপিকে হাত উপুড় করে ভোট দেবে না। আর এখানেই আশা দেখছে তৃণমূল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর