নিজস্ব প্রতিনিধি: বজবজ, সাঁইথিয়া আর দিনহাটার পরে এবার সিউড়ি। বিনা যুদ্ধে আরও এক পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। এই চারটি পুরসভার মধ্যে আবার দুটি পুরসভা অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুক বীরভূম জেলায়। সিউড়ি ও সাঁইথিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল যতটা উচ্ছ্বসিত ঠিক ততটাই চাপে বিরোধীরা। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট। তার আগেই তৃণমূলের পকেটে চলে গিয়েছে ৪টি পুরসভা। ভোটের আগেই যেভাবে শাসক দল তাঁদের খাতা খুলতে শুরু করে দিল তার প্রভাব রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির ভোটারদের ওপরেও যে পড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জনবিচ্ছিন্ন, সংগঠনহীন, বিরোধী দলগুলির ভোট যে এই ঘটনার জেরে আরও কমবে সেটা ভেবেই উদ্বিগ্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কেননা এই পুরনির্বাচনের ফল কিছুটা হলেও পড়তে চলেছে ২০২৩ সালের পঞ্চায়ের ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।
সিউড়ি পুরসভায় রয়েছে ২১টি ওয়ার্ড। বোর্ড গঠনের জন্য সেখানে প্রয়োজন ১১জন কাউন্সিলরের সমর্থন। এই অবস্থায় গতকালই ১জন বিজেপি প্রার্থী তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। শুক্রবার শহরের আরও ১৪টি ওয়ার্ড থেকে বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মোট ১৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর জেরেই বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ির পুরবোর্ড বিনা যুদ্ধেই দখল করে নিল তৃণমূল। আগামিকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন। দেখার বিষয় সেইদিন বাকি আসন থেকেও কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন কিনা। এদিন বিরোধীরা সরাসরি মুখ না খুললেও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, ‘গান পয়েন্টে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করছে শাসক দল।’ যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই আগে থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ভোট ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী প্রার্থীরা। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে মানুষের কাছে বিরোধীদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই।’