নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে এসে গত বৃহস্পতিবার খুন হয়ে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং(Canning) থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) সদস্য স্বপন মাজি। সেদিন তাঁর সঙ্গেই খুন হন স্থানীয় বুথের দুই তৃণমূল সভাপতি ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিকও। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। শনিবার সেই নিহত ৩ তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্যের শাসক দল। এদিন তৃণমূলের ৪জন সাংসদ, ২জন প্রতিমন্ত্রী সহ ১৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে ৩ পরিবারের সঙ্গে। দলের তরফ থেকে ওই ৩ পরিবারের হাতে এদিন ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তৃণমূলের ওই প্রতিনিধিদল নিহত তিন নেতা-কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারম্যান ও সাংসদ মালা রায়(Mala Roy), সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার(Kakali Ghosh Dastidar), সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, সংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, মন্ত্রী দিলীপ মন্ডল, বিধায়ক শওকত মোল্লা, বিধায়ক পরেশরাম দাস, বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, জেলা সভাপতি যগোরঞ্জন হালদার, বিধায়ক সুব্রত মন্ডল, বিধায়ক বিভাস সরদার প্রমুখ। তাঁরা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা এলাকায় গিয়ে ওই ৩ কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ও তাঁদের হাতে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন দলের তরফে। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন তাঁরা। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে মালা রায় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। কিছু ধান্দাবাজ দলও যোগ দিয়েছে এই ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা শান্তির বাংলা গড়ার চেষ্টা করছি। তৃণমূল এসব বরদাস্ত করবে না। ৪ লক্ষ টাকা করে তিনটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব পরিবারগুলির পাশে আছে।’
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। কড়া শাস্তি হবে দুষ্কৃতীদের। জনবিচ্ছিন্ন ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশ নয় এটা। ন্যায়বিচার পাবে পরিবার। পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে না বলে কাউকে কাউকে কাজে লাগিয়ে এসব করছে বিজেপি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’ বিধায়ক শওকত মোল্লাও বিজেপিকে দুষে বলেন, ‘প্রথম দিন যা বলেছি আজও তাই বলছি। বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা এ কাজ করেছে। শুভেন্দু অধিকারীরা যেভাবে বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট বানানোর চেষ্টা করছে, তা হবে না। মাটির তলায় গা ঢাকা দিলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানাই।’