নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দিনহাটায় আবু মিঞ্চা নামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য বিডিও অফিস থেকে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথে আততায়ীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে গুলি চালানো হয়েছিল তৃণমূল(TMC) থেকে বিজেপিতে(BJP) যাওয়া এবং অধুনা কোচবিহারের সাংসদ(MP Coachbehar) তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী(Union Minister of State for Home Affairs) নিশীথ প্রামাণিকের(Nisith Pramanik) নির্দেশে। সেই ঘটনায় নিম্ন আদালত আগেই নিশীথকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই গ্রেফতারি রুখতে নিশীথ কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের(Jalpaiguri Circuit Bench) দ্বারস্থ হন। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সার্কিট বেঞ্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর এদিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে নিশীথের গড় দিনহাটায় আন্দোলনে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এদিন দিনহাটা থানা ঘেরাও করে তৃণমূল দাবি তুলেছে, যতদিন না পুলিশ নিশীথকে গ্রেফতার করছে ততদিন তাঁরা থানা ঘেরাওয়ের এই কর্মসূচী চালিয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, নিশীথ প্রামাণিকের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন বেলা ১১টা থেকে দিনহাটা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেছে তৃণমূল। কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ(Rabindranath Ghosh) এদিন জানান, হাইকোর্ট রক্ষাকবচ খারিজ করে দেওয়ায় নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে আর কোনও বাধা নেই। তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত থানা ঘেরাওয়ের এই অবস্থান লাগাতার চলবে। তিনি বলেন, ‘আইনের ঊর্ধে কেউ নন। আদালতে রক্ষাকবচ চাইতে গিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু ওর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক খুনের মামলা রয়েছে। তাই আদালতও ওকে রক্ষাকবচ দেয়নি। এই ধরনের অপরাধীকে বাইরে রাখলে আরও মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই অবিলম্বে ওকে গ্রেফতার করা উচিত। সেই দাবিতেই আমাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ। নিশীথের নেতৃত্বে যেদিন আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তখনই আমরা ওকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলাম।’