নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকার বিরোধী সংবাদমাধ্যম, সিপিএম ও বিজেপির সাঁড়াশি চাপে খানিকটা হলেও কোণঠাসা সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বহিরাগতদের হামলার আশঙ্কায় অনেকেই নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন। দলীয় কর্মীদের মানসিকভাবে চাঙা করতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্দেশখালির কালীনগরে প্রকাশ্য সভা করবে তৃণমূল নেতৃত্ব। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জেলার একাধিক মন্ত্রী ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মঙ্গলবার সন্ধেয় কালীনগরে দাঁড়িয়ে এ কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি। যদিও ক্রমশ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসছে। বিজেপি এবং সিপিএম সমর্থকদের বিক্ষোভের আগুন রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ওই পরিষেবা বন্ধ রাখার পরে সোমবার রাত থেকে আংশিকভাবে চালু করা হয়। মঙ্গলবার পুরোপুরি চালু হয়েছে পরিষেবা। এলাকায় দোকানপাটও খুলেছে। যদিও সমাজবিরোধীদের তাণ্ডবের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে নিরীহ গ্রামবাসীদের।
কলকাতা হাইকোর্ট গোটা সন্দেশখালিজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি খারিজ করার পরেই এদিন বিকেলে কালীনগরে পৌঁছন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। নিরীহ গ্রামবাসীদের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন দুজনে। এমনকি বৈঠকও করেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘এটা উত্তরপ্রদেশ নয়। যেখানে ধর্ষণ করে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এটা বাংলা। এখানে মায়েদের সম্মান নষ্ট হয় না। তাছাড়া মা-বোনরাই এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতীক।’ এর পরেই ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূলের জনসভা হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।