নিজস্ব প্রতিনিধি: গুজরাটের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপরে ভেঙে পড়েছিল কেবল ব্রিজ (BRIDGE)। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে প্রায় ১৩৬ জন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। আর চূড়ান্ত এই বিপর্যয় ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র সফরের মাঝেই। গুজরাটের ঘটনা থেকেই সতর্ক হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
মাচ্ছু নদীর ওপরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। ভোটের আগে নজর কাড়া, নববর্ষের আগে তড়িঘড়ি করা, ফিট সার্টিফিকেট না পাওয়া, ১২ মাসের কাজ ৭ মাসেই শেষ করা, ঠিকা পাওয়া কোম্পানি, ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি, মাত্রাতিরিক্ত জনকে একসঙ্গে ঝুলন্ত সেতুতে উঠতে দেওয়া- অভিযোগ একাধিক। বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতি হয়েছে। আম আদমি পার্টি সরব হয়েছে সিবিআই তদন্তের দাবিতে। এই রাজ্যের বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল সরব হয়েছে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের বিরুদ্ধে। তবে গুজরাটের দুর্ঘটনার পরে বিশেষ সতর্ক হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
নবান্নে (NABANNA) পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের একটি বৈঠক হয়েছিল এদিন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা প্রায় ২হাজার ১০৯টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। জানা গিয়েছে, নভেম্বরেই হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। শুধু তাই নয়, দ্রুত মেরামত করা হবে বাংলার প্রায় ১২টি সেতু। জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকার আজ ঘোষণা করেছে বিদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান সহ ৬ ধর্মের অমুসলিম সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া হচ্ছে অবশ্য নাগরিকত্ব আইন- ১৯৫৫ অনুযায়ী। তবে এ রাজ্যে বিজেপি দাবি করছে, এটাই সিএএ কার্যকরের প্রথম পদক্ষেপ। আর তা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বলা হচ্ছে, ব্রিজ দুর্নীতিতে দুর্ঘটনাকে ধামা চাপা দিতেই এই ‘ব্লু প্রিন্ট’।