নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী ভ্যান চালক। আছে এক মেয়ে ও এক ছেলেও। মেয়ে পড়ে ক্লাস ফাইভে। ছেলে ক্লাস ফোরে। ১২ বছর আগে দেখাশুনা করেই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এখন কে জানতো, বিয়ের পরে দেওরের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে(Extra-Marital Affairs) জড়িয়ে পড়বেন ৩৬ বছরের সবিতা হেমব্রম। সেই প্রেমের জেরে সংসারে অশান্তিও লেগেছিল। যদিও এটা কেউ জানতেই পারেনি, বাড়ির বউ বাড়ির ছেলের সঙ্গেই প্রেম করছে। জানা গেল রবি সকালে, যখন দুইজনের দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাস্থল, উত্তরবঙ্গের(North Bengal) দক্ষিণ দিনাজপুর(Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট থানার(Balurghat PS) কৃষ্ণনগর গ্রাম। এদিন সকালে গ্রামের পাশের একটি জঙ্গলে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট থানায়। পুলিশ এসে সবিতা ও তাঁর দেওর তরুণ বর্মন(৩৯)’র দেহ উদ্ধার(Lovers Suiside) করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
জানা গিয়েছে, তরুণ সবিতার স্বামী বিনয় মার্ডির মাসতুতো ভাই। এক বাড়িতে না থাকলেও একই পাড়াতেই দুই পরিবারের বসবাস। তরুণ বিনয়ের বাড়িতে হামেশাই আসত। পাড়ার লোকেদের এখন সন্দেহ সেই যাতায়াতের মূল কারণ ছিল সবিতা। বিনয় এলাকাবাসীদের আগেই জানিয়েছিল, তাঁর বউ কারোর সঙ্গে প্রেম করছে। কিন্তু সবিতাকে কেউ কোনওদিন সেভাবে গ্রামের বাইরে একা যেতে দেখেনি। বাড়ির বাইরে কোনও ছেলের সঙ্গে কথা বলতে বা মেলামেশাও করতে দেখেনি। তাই বিনয়ের দাবিকে অনেকেই নিছক মনের সন্দেহ বলেই উড়িয়ে দিয়েছিল। তাঁদের সেই ভুল ভাঙল এদিন। সব থেকে বড় কথা, সবিতা ও তরুণের প্রেম চলেছে ৭-৮ বছর ধরে। কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তাঁদের সম্পর্কের আঁচ। জানতে পারেনি দুই পরিবারের কেউই।
মৃতা সবিতা হেমব্রমের নিজের দেওর বিজয় মার্ডি এদিন জানিয়েছে, ‘বৌদি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যান। বাড়ি থেকে কিন্তু ফোন করে জানা যায় তিনি তার বাপের বাড়িতে পৌঁছাননি। শুক্রবার বিকেলে ফিরে আসেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে কোথায় ছিল? কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আবার শুক্রবার রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। শনিবার সারাদিন নানা জায়গায় খুঁজে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। রাতে বালুরঘাট থানায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার সকালে গ্রামবাসীরা মাঠে যাওয়ার পথে গ্রাম থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জঙ্গলে তরুণ ও বৌদির ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে বাড়িতে খবর দেয়।’