নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম, বিজেপির পর এবার সন্দেশখালির(Sandeshkhali) পথে তৃণমূল(TMC)। তবে সন্দেশখালি থানা এলাকায় আপাতত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা(Section 144)। আর তাই আইন মেনেই সেখানে পা রাখতে চায় রাজ্যের শাসক দল। যে মূল এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বা যেখানে ১৪৪ ধারা জারি আছে, সেখানে যাবে না তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পরিবর্তে তাঁরা সন্দেশখালি সংলগ্ন ১৪৪ ধারার বাইরে থাকা এলাকা ঘিরে দেখবেন। কথা বলবেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেইও দলে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা আশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী(Narayan Goswami) এবং নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক(Partha Bhowmick)। আগামিকাল ২ জনের এই প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে পা রাখলেও যেমন মূল উত্তঅত এলাকায় যাচ্ছেন না তেমনি আগামিকাল তাঁরা কোনও সভাও করছেন না। তবে ১৮ ফেব্রুয়ারির পরে তাঁরা সেখানে একটি শান্তিসভা করতে পারেন।
কেন ১৮ ফেব্রুয়ারি? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি এবং গ্রেফতারির পর থেকেই ঠান্ডা হতে শুরু করেছে সন্দেশখালি। এই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকলে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সেখান থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হতে পারে। তাই তার আগে কোনও সভা নয়। যা কিছু সভা হবে সেটা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের পরে অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারির পরে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে ১৪৪ ধারা ওঠার পর সেখানে শান্তিসভা করবে তৃণমূল। সভায় থাকবেন পার্থ ভৌমিক, রথীন ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, সুকুমার মাহাতো, নির্মল ঘোষ এবং সুজিত বসু। তাঁরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কোর কমিটির সদস্য। শনিবার বাম ও এদিন অর্থাৎ সোমবার সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও আগামিকাল তৃণমূল যাচ্ছে।