নিজস্ব প্রতিনিধি,গোসাবা : শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।এই দুর্ঘটনার জেরে কমপক্ষে দুই-শতাধিকের আশেপাশে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে এলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার(Basanti P.S.)অন্তর্গত লেবুখালী এলাকার একই পরিবারের দুজন। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের আট নম্বর বগিতে ছিলেন লেবুখালী এলাকার বাসিন্দা কুতুব মোল্লা ও ওনার বৌমা পারুল মোল্লা। শ্বশুর ও বৌমা বর্তমানে ক্যানিং মহকুমার হাসপাতালে(Caning Hospital) ভর্তি।
পারুল মোল্লা বলেন , স্বামী ভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক । স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে ব্যাঙ্গালোরে যাচ্ছিলাম। শালিমা থেকে ট্রেনে উঠেছিলাম ।আমরা ৮ নম্বর বগিতে ছিলাম । উড়িষ্যার বালেশ্বরের(Baleswar) কাছে ঘটে জোড়া দুর্ঘটনা। আমাদের বগিতে ৪জন ছাড়া আর কেউ জীবিত ছিল না। কপাল জোরে শ্বশুর ও আমি বেঁচেছি। সে দৃশ্য এখনো চোখের সামনে ভাসে। কুতুব মোল্লা জানান, দুর্ঘটনার পর আমার বৌমার গায়ের উপর ৪ জনের মৃতদেহ পড়েছিল।
মৃতদেহের মধ্যে থেকে আমি বৌমাকে উদ্ধার করি কোনো রকমে। এরপর আমি অচৈতন্য হয়ে পড়ি। সেই দৃশ্য এখনো যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে। পরিবারের এক সদস্য শফিকুল মোল্লা বলেন, ভয়ানক দুর্ঘটনার কথা আমরা ফোনে জানতে পারি। এরপর তড়িঘড়ি সময় নষ্ট না করে গাড়ি নিয়ে ওখানে পৌঁছই আমরা। দুজনকে ওখান থেকে আমরা নিয়ে আসি। বর্তমানে ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে চোখ বন্ধ করলেই তারা সেই ট্রেনের যাত্রীদের সেই আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছে। নতুন করে জীবন ফিরে পেয়ে দুজনেই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ওপরওয়ালাকে।