নিজস্ব প্রতিনিধি: সুফি সাধক হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শিদ আলি আল কাদেরি আল বাগদাদির (মওলা পাকের) উরস (Uras) উপলক্ষে মিলে গেল দুই বাংলা। উরসে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে বাংলায় এলেন ২২০০ জন পুণ্যার্থী। বৃহস্পতিবার পুণ্যার্থীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনশটি ভোর ৫টা নাগাদ মেদিনীপুর ষ্টেশনে পৌঁছয়। মেদিনীপুরে নামার পর পূণ্যার্থীদের স্বাগত জানানো হয় মেদিনীপুর পুরসভার পক্ষ থেকে।
সুফি সাধক হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শিদ আলি আল কাদেরি আল বাগদাদির (মওলা পাকের) উরসে যোগ দিতে প্রতি বছর মেদিনীপুর শহরে বহু মানুষ আসেন। বাংলাদেশ-সহ উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পূণ্যার্থীরা এই সময় মেদিনীপুরে এসে পৌছন। বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে উরসে যোগ দিতে ইচ্ছুক সেদেশের মানুষের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের উদ্যোগে এই ট্রেন চলে। কোভিডের কারণে গত দু বছর উরস হয়নি। দু বছর পর হতে চলা উরসে তাই কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হতে চলেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেদিনীপুর শহরে মির্জাবাজার এলাকাতে শুরু হয়েছে উরস৷ সাত দিন ধরে চলে মেলা।
সুফি সাধকের উরস উপলক্ষে প্রতি বছর হিন্দু মুসলমান, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ সামিল হন। পূণ্যার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খোলা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। দু বছর পর উরস হতে চলায় লাভের মুখ দেখতে চলেছেন ব্যবসায়ীরাও। বাংলাদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীরা ফেরার সময় নানা সামগ্রী কিনে নিয়ে যান উরসের মেলা থেকে। মিষ্টি, ক্ষীরের গজা, মিহিদানা হাঁড়ি ভর্তি করে নিয়ে যান তাঁরা। বিক্রি হয় বাসনপত্র, মাদুর-সহ অন্যান্য সামগ্রীও।