নিজস্ব প্রতিনিধি: শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের (Basanta Utsav) নামে ‘বসন্ত তাণ্ডব’ হত, এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) উপাচার্য (VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে এই সাফাই গান ‘সঙ্ঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ’ উপাচার্য।
বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত তাণ্ডব চলে বিশ্বভারতীতে। কিছু বুড়ো খোকারা থাকেন এর পিছনে। তাই তাণ্ডব বন্ধ করেছি। বসন্ত বন্দনা হবে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, তিনি বন্দনা চেয়েছিলেন। আমরা সেটাই করব। তাণ্ডব বন্ধ করে হবে বসন্ত বন্দনা।’ একইসঙ্গে এদিন বিদ্যুত চক্রবর্তী বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এ বারও বসন্ত উৎসব করা হচ্ছে না। তার পরিবর্তে করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা। আগামী ৩ মার্চ ওই অনুষ্ঠান হবে। যেখানে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা ছাড়া বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না।
উল্লেখ্য বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব মানে একটা আলাদা মাত্রা রয়েছে। সেই উৎসবে যেমন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশ নিতেন তেমনই বাইরে থেকে বহু মানুষ রঙের টানে ছুটে যেতেন বিশ্বভারতীতে। কিন্তু কোভিড সংক্রমণের কারণে গত ৩ বছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে। ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উৎসব চালু করেন। বসন্তকে স্বাগত জানাতে উৎসবের সূচনা করেন তিনি। পরে এই উৎসব ‘বসন্ত উৎসব’ নামে পরিচিত হয়। প্রথমে বসন্তের যে কোনও দিন অনুষ্ঠিত হলেও, পরের দিকে শুধুমাত্র বসন্ত-পূর্ণিমার দিনেই এই উৎসব হত। ঐতিহ্যবাহী সেই উৎসবকে এবার বন্ধ করে দিল বিশ্বভারতী।