নিজস্ব প্রতিনিধি: রাস্তা সারাই না হলে গ্রামে নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমনই পোস্টার পড়ল মালদা(Malda) জেলার সদর মহকুমার ইংরেজবাজার(Englishbazaar) ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের(Kajigram GP) হযরতনগর, মিরাদল ও আজিমপুর এলাকায়। কেননা হযরতনগর থেকে মিরাদুল হয়ে আজিমপুর পর্যন্ত যে রাস্তা রয়েছে তা কার্যত চলাচলের অযোগ্য। বর্ষার সময় তো হাঁটাই দুষ্কর হয়ে পড়ে সেই রাস্তায়। স্থানীয় প্রশাসনকে বার বার রাস্তা সারাইয়ের কথা বলা হলেও রাস্তা আর সারাই করার পথে পা বাড়াননি তাঁরা। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েতের ভোট। তখন ভোট চাইতে বাড়ি বাড়ি আসবেন নেতারা। কিন্তু রাস্তা সারাই না করলে গ্রামে ভোট চাইতে আসা তো দূরের কথা, গ্রামে ঢোকারও যেন সাহস না দেখান নেতারা। এমনই দাবি ক্ষুব্ধ ৩-৪টি গ্রামের বাসিন্দারা। নিজেদের এলাকায় রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পোস্টার(Postar) দিয়েছেন তাঁরাই। গ্রামবাসীদের দাবি, রাস্তা সারাই না করে গ্রামে কোনও নেতা পা রাখলেই তাঁকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করা হবে।
আরও পড়ুন ‘শান্তিকুঞ্জ’-এ কী পড়বে অভিষেকের পা, তাকিয়ে আছে বাংলা
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, হযরতনগর থেকে আজিমপুর পর্যন্ত বেহাল রাস্তাটি ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যের পড়ে। কিন্তু বার বার গ্রাম পঞ্চায়েতকে বলেও রাস্তা সারানোর কাজ হয়নি। রাস্তা সারানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতিকে, বিডিও-কে, বিধায়ককে মায় সাংসদকেও বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা সারাই হয়নি। চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলা শাসক ও জেলার সভাধিপতিকে। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব তাঁরা পাননি। তাই কিছুটা বাধ্য হয়ে এখন নিজেরাই পোস্টার দিয়েছেন। পোস্টারেকাণ্ডের জেরে অবশ্য মুখ খুলেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু। তাঁর দাবি, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের হাতে নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন, জেলা পরিষদের উন্নয়ন সেখানে গিয়ে পৌঁছাতে পারছে না। তবে এবার প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাস্তা সারাই হবে। যদিও গ্রামের লোকেদের দাবি, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। তাই ৮ থেকে ৮০ সবাই জোট বেঁধেছে। তাঁদের পণ, দুর্ভোগের রাস্তা দিয়ে তাঁরা আর হাঁটবেন না। আর যদি হাঁটতেই হয় তাঁরা কোনও নেতার কথা শুনবে না। নেতা বয়কট চলবে ওইসব গ্রামে।