নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার রাজ্যের তিন কেন্দ্র কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভোট গ্রহণ। এই তিন কেন্দ্রে যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই তিন জায়গায় যে সব স্পর্শকাতর কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোচবিহারে ১৯৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে ক্রিটিকাল পোলিং স্টেশন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে এই ক্রিটিকাল পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ১৫৯টি ও জলপাইগুড়িতে এই ক্রিটিকাল পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ৩৮২টি। প্রথম পর্যায়ে মোট ৮৩৭টি ক্রিটিকাল কেন্দ্র রয়েছে এই তিন জেলায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার প্রথম পর্বের ভোটে কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। প্রথম পর্যায়ে মোট ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সব পোলিং স্টেশনেই মোতায়েন করা থাকবে। পাশাপাশি এই তিন কেন্দ্রে ১০১৫০ জন রাজ্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ইতিমধ্যে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করলে বেশ কিছু লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪১,৮৩০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে ১০১৩টি ফ্লাইং সারভ্যালেন্স টিম ও ৩৩৪টি স্ট্যাটিক সারভালেন্স টিম সারা রাজ্যে কাজ করছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৩ কোটিরও বেশি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৫৬ কোটি টাকার মতো মদ ও ২৭ কোটি টাকারও বেশি ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।