নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী অমুসলিম শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সিএএ না হলেও উস্কে দেওয়া হচ্ছে সিএএ (CAA) প্রসঙ্গ। বোঝাই যাচ্ছে, গুজরাট নির্বাচনের আগে কেন এই পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিরোধীদের অভিযোগ, মোরবি কেবল ব্রিজ দুর্ঘটনা ইস্যুকে চাপা দিতেই এই পদক্ষেপ। তবে এই রাজ্যে মতুয়ারা আদৌ কী সুবিধা পাবে, তা নিয়েই দেখা গিয়েছে দ্বিধা। মহাসংঘ ঠাকুর বাড়িতেও স্পষ্ট ধরা পড়ছে সেই দ্বিধাবিভক্ত ছবি। মুখ খুলেছেন মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান মমতা বালা ঠাকুর এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
গুজরাটের জন্য এই ঘোষণা আঁচ ফেলেছে এই রাজ্যেও। বলা হচ্ছে, সিএএ কার্যকর করার প্রথম ধাপ এটা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল সরব হয়েছে সিএএ’র বিরোধিতা করে। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, দাবি রয়েছে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের। কোন প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে জানা প্রয়োজন।
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু বলেন, এই দেশ চলে যুক্ত রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে। তাই গুজরাটে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের জন্য তা সম্ভব হয়েছে। এই রাজ্যে অন্য সরকার। তাই তা কার্যকরে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তাঁর উক্তি, কী হচ্ছে না হচ্ছে তা তিনি জানেন না, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল কেমন হবে, তা বলতে পারবে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁর গলায় যেন অভিমানের সুর।
প্রসঙ্গত, সিএএ এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কার্যকর হতে দেরি হওয়ায় মতুয়া সমাজের মধ্যে জমেছিল ক্ষোভ। তবে এই রাজ্যে সিএএ কার্যকর হয়নি এখনও। হলেও কী সুবিধা পাবেন তাঁরা, তা নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। সেই চিন্তার মাঝেই মতুয়া সমাজের দু’ই শিবিরে মতানৈক্য দেখা গেল।