নিজস্ব প্রতিনিধি: মায়ানমারের কাছেই তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকা কিংবা পশ্চিমের জেলাগুলি ভাসছে। আপাতত নিম্নচাপটি বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানেই শক্তি হারিয়ে ফের ঘূর্ণাবর্তের চেহারা নিয়ে ফিরবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তবে এবার তার যাত্রাপথ বিহারের পূর্ণিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশের রংপুরে যাবে। আর তাই আগামী শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টি। সেই তুলনায় উত্তরবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। যার ফলে বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে উত্তরে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী শুক্রবার থেকে রবিবার ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
রবিবার থেকে রাজ্যে কমবে বৃষ্টি। এমনিতেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বছরে দেশে বর্ষা পর্যাপ্ত। আর যা বৃষ্টি হবে এবার সবটাই ঘূর্নাবর্ত কিংবা স্থানীয় নিম্নচাপের জন্য। তবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি কমবে দেশে। চলতি মাসে দক্ষিণবঙ্গে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির ঘাটতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহান্তের বৃষ্টিতে সেই ঘাটতি কিছুটা কমতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এই মুহূর্তে বানভাসি রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আসানসোলে বৃষ্টি হয়েছে ৪৩৪ মিলিমিটার। যা সর্বকালীন রেকর্ড বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহবিদদের দাবি, এর আগে ২০১৮ সালে আসানসোলে বৃষ্টি হয়েছিল ১৯২ মিলিমিটার, যা এতদিন রেকর্ড ছিল। টানা বৃষ্টিতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকাই জলের তলায়। আসানসোলের রেলপাড়, দিলদারনগর, চেলিডাঙা, নিয়ামতপুর, রানিগঞ্জ, বার্নপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন।