নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) গোবিন্দভোগ চালের সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। সুগন্ধি এই চালের গুরুত্ব ভোজনরসিক বাঙালিদের কাছে অনেক বেশি। এই ধানে যাতে ভেজাল না মেশে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার ন্যায্যমূল্যে চাষিদের বীজ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষি দফতরের আধিকারিকদের দাবি, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই বীজ বিক্রির নামে চাষিদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। তাদের বীজে ধানের ফলন হয় না। গোবিন্দভোগ ধানের গুণ বজায় রাখতে হলে উন্নতমানের বীজ দরকার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বীজনিগম সেই কারণে ওই ধানের বীজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৪ কেজি গোবিন্দভোগ ধানের বীজ ৩২৪ টাকায় বিক্রি করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন আরামবাগ তুমি কার, প্রশ্নের মুখে বাম-তৃণমূল-বিজেপি
রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি গোবিন্দভোগ চালের(Gobindobhog Rice) চাষ হয়চ পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার। কিন্তু সেখানকার চাষিদের(Farmers) অভিযোগ, সরকার প্রতি বছরই কৃষকদের জন্য গোবিন্দভোগ চালের বীজ পাঠায়। কিন্তু তা কে বা কারা পায় সেটা অনেকেই জানতে পারে না। ধান বীজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সব্জি ও শস্য বীজও দেওয়া হয়। সেগুলিও অধিকাংশ চাষিরা পান না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। কোথায় কীভাবে ধান বা অন্য শস্যের বীজ পাওয়া যায়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রচার করা উচিত বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরকারের পাঠানো ধানের বীজ নির্দিষ্ট কিছু চাষি পেয়ে থাকেন, সবাই চাইলেও পান না। এই সব অভিযোগের এবার খতিয়ে দেখতে চান কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। সেই প্রসঙ্গেই চাষীরা চাইছেন কোথায় কোথায় গোবিন্দভোগের চালের বীজ পাওয়া যাবে তা সরকার তালিকা আকারে প্রকাশ করুক। কে কে সেই বীজ পাচ্ছে তাও জানানো হোক। সেটা হলে স্বচ্ছতা থাকবে।
আরও পড়ুন অগ্নিপরীক্ষা গুরুংয়ের, পরীক্ষা তৃণমূলেরও, আত্মবিশ্বাসী অনীত
যদিও এই প্রসঙ্গে জেলার কৃষি আধিকারিক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলায় গোবিন্দভোগ চালের ধান চাষের এলাকা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। ফলনও অনেক বেশি হয়েছে। চাষিদের সঙ্গে সবসময় সহযোগিতা করা হয়। এবারে বর্ধমান শহরের কনাইনাটশাল এলাকায় রাজ্য বীজ নিগমের জেলা অফিস থেকে গোবিন্দভোগ চালের বীজ কেনা যাবে। এছাড়া রায়না-১ ব্লকের কিষান মান্ডি, মেমারি-২ ব্লকের নবস্থা ফার্ম এবং খণ্ডঘোষের কর্মতীর্থে গোবিন্দভোগ ধানের বীজ পাওয়া যাবে। ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বর্ধমান-২ ব্লকের বড়শুল আদর্শ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতেও এই ধানের বীজ পাওয়া যাবে। বীজ বিক্রির জন্য আরও কয়েকটি ক্যাম্প করা দরকার ছিল। কিন্তু কর্মীর অভাবে সব জায়গায় তা করা যাচ্ছে না। বীজ বিক্রির উপযুক্ত পরিকাঠামোও সব জায়গায় নেই।