এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অগ্নিপরীক্ষা গুরুংয়ের, পরীক্ষা তৃণমূলেরও, আত্মবিশ্বাসী অনীত

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানায় শেষবারের মতো পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট(Panchayat Election) হয়েছিল। সেটা ছিল ২০০১ সাল। সেবারে ভোট হয়েছিল শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে। পঞ্চায়েত সমিতি অর্থাৎ ব্লক স্তরে সেবার যেমন কোনও নির্বাচন হয়নি তেমনি নির্বাচন হয়নি জেলা স্তরে বা জেলা পরিষদে। দীর্ঘ ২২ বছর বাদে আবারও পাহাড়ের বুকে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এটা খুব ভাল দৃশ্য যে এই নির্বাচনের বিরোধিতা যেমন কেউ করছে না তেমনি কেউ ভোট বয়কটের ডাকও দিচ্ছে না। তবে এবারেও জেলা পরিষদ স্তরে ভোট হচ্ছে না। কেননা পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং(Darjeeling) ও কালিম্পংয়ে(Kalimpong) জেলা পরিষদ আর নেই। সেই জায়গা নিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনস্ট্রেশন বা GTA। তবে ভোট হবে গ্রাম পঞ্চায়েত আর পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে। আর সেই ভোট কার্যত বিমল গুরুংয়ের(Bimal Gurung) রাজনীতির কেরিয়ারে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে। পরীক্ষা কিছুটা হলেও তৃণমূলেরও(TMC)। তবে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী থাকছেন অনীত থাপা(Anit Thapa)।

আরও পড়ুন মনোনয়ন পেশের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

পাহাড়ের বুকে সুবাস ঘিসিংকে ইতিহাসের পাতায় ঠেলে দিয়ে উত্থান হ্যেছিল গুরুংয়ের। পাহাড়বাসীকে তিনি দেখিয়েছিলেন পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের স্বপ্ন। কিন্তু তারপর তিনি নিজেই বিপথগামী হয়েছেন। বিজেপির হাত ধরে পাহাড়ে অশান্তির আগুন লাগিয়ে বেপাত্তা হতেই তাঁর তৈরি সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। তাঁর অবর্তমানে হাল ধরেছিলেন বিনয় তামাং ও অনীত থাপা। পরে গুরুং ফিরেও এসেছিলেন রাজকীয় ভাবে। কিন্তু ফেরত পাননি তাঁর সাম্রাজ্য। বিনয়ও রাজনীতির অন্ধগলিতে হারিয়ে গিয়েছেন। থেকে গিয়েছেন শুধু অনীত। এখন তিনিই GTA চেয়ারম্যান। এখন তিনিই পাহাড়ের শেষ কথা। কিন্তু এখনও অবধি অনীত নিজেকে সুবাস ঘিসিং বা বিমল গুরুংয়ের মতো সর্বেসর্বা হিসাবে তুলে ধরেননি। বরঞ্চ জোর দিয়েছেন পাহাড়ে শান্তির স্থায়িত্ব। জোর দিয়েছেন উন্নয়নে। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে পাহাড়েও পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো হয় এবং পাহাড়ের বাসিন্দারাও যেন সমতলের মানুষদের মতোই রাজ্য সরকারের সব আর্থসামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পায়।

আরও পড়ুন গাড়ি বিক্রির হারে এগিয়ে মমতার বাংলা, পিছিয়ে মোদির ভারত

অনীতের সেই আর্জি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমতলের সঙ্গেই পাহাড়ে হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২২ বছর বাদে। তবে সমতলে হচ্ছে ত্রিস্তরীয় নির্বাচন, পাহাড় হবে দ্বিস্তরীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনই এবার অগ্নিপরীক্ষা হয়ে উঠতে চলেছে বিমল গুরুং ও তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। কেননা এর আগে পাহাড়ে যে পুরনির্বাচন হয়েছে সেখানে কলকে পায়নি মোর্চা। বাজি মেরেছিল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। পরে আবার সেই দলের বড় অংশের সদস্যরা চলে যান অনীতের দলে মানে ভারতীয় গোর্খা জনপ্রজাতান্ত্রিক মোর্চায়। GTA নির্বাচনেও গোহারান হেরেছে গুরুংয়ের দল। বাস্তবে তৃণমূল ও ভারতীয় গোর্খা জনপ্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ভিন্ন আর কোনও দলেরই পায়ের নীচে মাটি নেই পাহাড়ে। তা সে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা হোক কী জিএনএলএফ, বিজেপি হোক কী বামেরা। এই নির্বাচনে এরা আপ্রাণ চেষ্টা করবে জনসমর্থন পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে। হয়তো তাঁরা কেউ কেউ জোটও বাঁধবে। জোট বাঁধতে পারে তৃণমূল ও অনীতের দলও। তবে এর আগে GTA নির্বাচনেও দুই দলের জোট হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগও উঠেছিল যে তৃণমূলকে হারাতে নির্দল প্রার্থগী দাঁড় করিয়েছিলেন অনীত। এবারেও সেই সম্ভাবনা থাকছে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা তৃণমূলেরও। কেননা তাঁদের পাহাড়ের ভোটে কার্যত একাই লড়তে হবে। তুলনায় GTA’র ক্ষমতায় থাকা অনীত অনেকটাই নিশ্চিত এই নির্বাচনেও বাজিমাত করার লক্ষ্যে।

আরও পড়ুন গঙ্গা ভাঙনে জেগে ওঠা চরে হবে সমীক্ষা, লাভবান হবেন আড়াই লক্ষ মানুষ

পাহাড়ে দুটি জেলায় মোট ৮টি ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এই ৮টি ব্লক হল দার্জিলিং জেলার দার্জিলিং-পুলবাজার ব্লক, জোড়াবাংলো-সুখিয়াপুখরি ব্লক, রাংলি-রাংলিয়ট ব্লক, কার্শিয়াং ব্লক ও মিরিক ব্লক এবং কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লক, কালিম্পং-১ ব্লক ও কালিম্পং-২ ব্লক। দার্জিলিং জেলার ৫টি ব্লকের ৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত থাকছে যেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এবং কালিম্পং জেলার ৩টি ব্লকে ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত থাকছে যেখানে এই ভোট হবে। এই ৮টি ব্লকের মধ্যে সব থেকে বেশি নজর থাকবে অবশ্যই মিরিকের দিকে। কেননা ৬ বছর আগে মিরিক পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। সেইবারই প্রথম পাহাড়ের কোনও ভোটে সমতলের রাজনৈতিক দল জয়ী হয়েছিল। সেই জয় দেখেই গুরুং বুঝে গিয়েছিলেন বিপদ বাড়ছে তাঁর। তারপরে পরেই পাহাড়ে অশান্তির আগুন লাগিয়ে বেপাত্তা হন তিনি। এবারে মিরিকের পঞ্চায়েত সমিতিতে এবং সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূলের ফল কেমন হয় সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন সকলেই। অনীতও তাকিয়ে থাকবেন তৃণমূলের ফলের দিকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোথাও পুলিশ লাগালো গাছ, কোথাও আবার ডিউটির ফাঁকে করলেন রক্তদান

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

কৃষ্ণনগরের দর্জি তাক লাগিয়ে দিলেন ১৪৪ বর্গফুটের লুডো তৈরি করে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর