নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal) দেশের সেই সব হাতেগোনা রাজ্যগুলির মধ্যে একটি যেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের(State Government Employees) অবসরের পরে Pension দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁর মৃত্যুর পরেও সেই Pension পাওয়ার সুযোগ পান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এবার সেই পারিবারিক পেনশন বা Family Pension’র অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পদক্ষেপ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। রাজ্যের অর্থ দফতর এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। একই সঙ্গে সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, Family Pension’র আবেদন জমা পড়ার পর তার নিষ্পত্তি ঠিক কতদিনের মধ্যে করতে হবে। অর্থাৎ এই ধরনের আবেদন যাতে আর দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে পড়ে না থাকে তার জন্য কার্যত একটা সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতদিন বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পেনশনারের মৃত্যুর পর পারিবারিক পেনশন অনুমোদন হতে দীর্ঘসময় লেগে যায়। তখন সেইসব পরিবার ভয়ানক আর্থিক সংকটে পড়ে যেত। একই সঙ্গে এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, Family Pension’র আবেদনের সঙ্গে কী কী নথি জমা দিতে হবে আর কোথায় দিতে হবে সেকথাও।
বাংলায় এখনও কোনও সরকারি পেনশনারের মৃত্যু হলে Family Pension দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পেনশন গ্রাহকের স্বামী বা স্ত্রী ছাড়াও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল তাঁদের অবিবাহিতা বা বিধবা কিংবা ডিভোর্সি কন্যা Family Pension পাওয়ার যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হন। শুক্রবার রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে পেনশনারের স্বামী বা স্ত্রীকে Family Pension পাওয়ার জন্য যে আবেদন জানাবেন সেখানে দাখিল করতে হবে তাঁদের বিয়ের শংসাপত্র সংক্রান্ত নথিও। সঙ্গে দিতে হবে Aadhar Card, Voter Card, PAN Card’র জেরক্স। লাগবে আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। জমা দিতে হবে যে সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তাঁর Death Certificate এবং PPO’র কপি। পাশাপাশি যিনি ফ্যামিলি পেনশনের জন্য আবেদন করেছেন তাঁর সঙ্গে যে মৃত সরকারি কর্মীর সম্পর্ক ছিল এবং তিনি যে এই পেনশনের প্রাপক, তার সপক্ষে নথি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়াত সরকারি কর্মীর দফতরেই তা জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, কোনও প্রয়াত সরকারি কর্মীর মেয়ে যদি ফ্যামিলি পেনশনের জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে তাঁকে মুচলেকা জমা দিয়ে জানাতে হবে যে এই পেনশনের জন্য আর কেউ আবেদন করবেন না।