এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার সরকারের

নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন বছর এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। তুলে দেওয়া হচ্ছে চটশিল্পে ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত প্রভিডেন্ট ফাণ্ড(PF) বা পিএফ ব্যবস্থা। পরিবর্তে বাংলার চটকল শ্রমিকদের পিএফের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থা ইপিএফও’র হাতে তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যার অর্থ এবার থেকে বাংলার চটকল শ্রমিকেরা(Jute Mill Labours) আর তাঁদের অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত হয়ে থাকবেন না। কেউ তাঁদের জীবন শেষের সঞ্চয় মেরে দিতে পারবেন না। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাশিতভাবেই স্বাগত জানিয়েছে শাসক ও বিরোধী- উভয়পক্ষের শ্রমিক সংগঠনগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের এই সিদ্ধান্তে লাভবান হতে চলেছেন বাংলার আড়াই লক্ষ শ্রমিক যারা এখন পিএফের আওতায় আছেন। সম্প্রতি চটকল মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে এক ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক(Moloy Ghatak) এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

বাংলার বুকে একসময় চটকল শিল্প কয়েক লক্ষ মানুষের রুটিরুজি জোগাত। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া ও নদিয়া জেলায় ছিল সেই সব চটকল। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের ভ্রান্ত নীতি ও বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির হরতাল নীতি বাংলার চটশিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক লক্ষ মানুষের বিপদ ডেকে আনে। বাম জমানাতেই বন্ধ হয়ে যায় কয়েকশো চটকল। এখন যেগুলি রয়েছে সেগুলিও কার্যত ধুঁকছে। এই অবস্থায় সব থেকে বেশি লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন চটকল শ্রমিকেরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বন্ধ হয়ে যাওয়া চটকলগুলির মালিকেরা শ্রমিকদের অবসরকালীন পাওনাগন্ডার টাকা মেরে দিয়েছেন। অথচ নিজেরা ফুলে ফেঁপে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। এর নেপথ্যে ছিল ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত পিএফ তহবিল ব্যবস্থা। বাংলার চটকলগুলিতে শ্রমিকদের পিএফ খাতে যে টাকা জমা পড়ে তা সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে দেখভাল হয়। আর দেখা যাচ্ছে এই ট্রাস্টি বোর্ডগুলিই সেই তহবিলের টাকা নয়ছয় করে দিচ্ছে। যার জেরে চটকল শ্রমিকেরা তাঁদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) কাছেও এই ট্রাস্টিগুলি নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হচ্ছিল। ট্রাস্টিগুলির অডিটেও বিস্তর গরমিল ধরা পড়ে।

রাজ্য সরকারের পাশাপাশি পিএফ কর্তৃপক্ষের কাছেও এনিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে। তার জেরে একাধিক সংস্থার ক্ষেত্রে রাজ্য শ্রমদফতরের পিএফ সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাতিলের জন্য পিএফ কর্তৃপক্ষ শ্রমদফতরকে বেশ কয়েকবার চিঠিও দিয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে আবার এনিয়ে মামলাও হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখেই রাআজ্য সরকার চটশিল্পের কোনও সংস্থাকেই আর ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলায় যুক্ত সংস্থাগুলির তালিকা রাজ্যের শ্রমদফতরে জমা দেওয়ার জন্য পিএফ কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। আইনি ঝঞ্ঝাটহীন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে অবিলম্বে ওই ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শ্রম দফতর। তবে মন্দের ভালো এটাই যে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ’র তরফে কোনও আপত্তি তোলা হয়নি। এরফলে বাংলার চটকল শ্রমিকদের পিএফ এবার সুরক্ষিত হাতে থাকতে চলেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর