নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া : রবিবার বিকেলে বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত ছাঁচনপুর গ্রামের লক্ষ্মী মূর্মূ স্মৃতি শিশু বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষাবিদ মিহির সেনগুপ্ত স্মরণে শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী দুঃস্থ মানুষদের শীত বস্ত্র কম্বল উপহার প্রদান তৎসহ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।ব্যবস্থাপনায় ছিল ঊষারানি গ্লোবাল হসপিটালিটী ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় কিশোর ভারতী উন্নয়ন সংস্থা।উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সম্পাদক রেবা মূর্মূ, সমাজসেবী কাজল সেন, চিন্ময় ভট্টাচার্য, স্বপন ব্রহ্ম, সনৎ ঘোষ, দিলিপ মজুমদার, তপন দাস, শ্যামল চক্রবর্তী, গৌতম মজুমদার প্রমুখ ।
প্রত্যন্ত ছাঁচনপুর গ্রামের(Chachan Village) আদিবাসী সাঁওতালরা সাঁওতাল নাচ পরিবেশন করেন।বিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে আর্থিক সহায়তা করা হয় কিশোর ভারতী উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে। পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি কিশোর ভারতী আশ্রম বিদ্যালয়ের প্রার্থনা সভা হলে শনিবার সকালে অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের হাতে শীত বস্ত্র কম্বল প্রীতি উপহার তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কিশোর ভারতী উন্নয়ন সংস্থার সম্পাদক সনৎ ঘোষ, সভাপতি দিলীপ মজুমদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য সহ আয়োজক সংস্থার বিশিষ্ট জনেরা।সংস্থার চিফ কো- অর্ডিনেটর স্বপন ব্রহ্ম জানান, সংস্থার লক্ষ সমাজে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষের সেবা সহায়তা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউবারাকপুর(New Barrackpore), মধ্যমগ্রাম, বারাসতের পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি(Baghmundi)এবং বাঁকুড়া ছাঁচনপুর গ্রামে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রীতি শীত বস্ত্র কম্বল উপহার প্রদানের পাশাপাশি একবেলার প্রীতিভোজ আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষাবিদ মিহির সেনগুপ্ত স্মরণে বাঁকুড়া জেলার ছাঁচনপুর লক্ষ্মী মূর্মূ শিশু শিক্ষা বিদ্যালয়ে অসহায় আদিবাসী সাঁওতালী সহ শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী এবং পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি এলাকার কিশোর ভারতী আশ্রম বিদ্যালয়ের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ১২০ জন দুঃস্থ মানুষদের প্রীতি শীত বস্ত্র কম্বল উপহার প্রদান করা হয় এবং দুটি বিদ্যালয়ে অসহায় মানুষদের প্রীতিভোজেরও আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।