নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের শ্বশুড়বাড়ির অত্যাচারে বলি আরও এক গৃহবধূ? বসিরহাটের বাদুড়িয়ার ঘটনায় তেমনই সন্দেহ করছে পুলিশ। বাদুড়িয়া থানায় নাগরপুর গ্রামে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। মৃত গৃহবধূর নাম রোকেয়া খাতুন। আচমকাই ঘরের ভিতর থেকে রোকেয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রোকেয়ার বাপের বাড়ির অভিযোগ শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে বলছে আত্মহত্যা করেছে রোকেয়া।
ছ’বছর আগে রোকেয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় বসিরহাটের নাগরপুর গ্রামের হাফিজুল মণ্ডলের। পেশায় চাষি হাফিজুল পণের দাবি প্রথম থেকেই করে এসেছে। দু’জনের এক ও আড়াই বছরের দুই শিশুসন্তান রয়েছে। রোকেয়ার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময় মোটরবাইক, সোনার গয়না, অন্যান্য আসবাবপত্র এবং প্রচুর নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল হাফিজুলকে। তারপরেও আরও নানান জিনিস চেয়ে বারবার চাপ দেওয়া হত রোকেয়াকে। মারধর করা হত ও মানসিক নির্যাতন করা হত রোকেয়াকে। যাতে এই সমস্যার সমাধান হয়, সেইজন্য গ্রামে বারবার সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। রোকেয়ার বিয়েতে পণ দিতে গিয়েই হিমশিম খেয়েছিল বাপের বাড়ির লোকজন। তবুও বারবার আরও পণ চাই বলে দাবি করেছিল হাফিজুল।
শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাঝে মাঝেই দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেত রোকেয়া। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন মোবাইল চেয়ে চাপ দেয় রোকেয়ার স্বামী হাফিজুল। শুক্রবার অশান্তি চরমে ওঠে, তারপরেই শনি সকালে রোকেয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। রোকেয়ার মা আলেয়া বিবি জামাই হাফিজুল সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।