নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ঠ্যালার নাম বাবাজি। বাকি সংস্থাগুলির দরেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার দাম নেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের আশ্বাস দিয়েছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ারের শীর্ষ কর্তারা। সেই সঙ্গে রামপাল ও পায়রার মতো একই দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি। সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা অন্য সংস্থার চেয়ে খুব বেশি হেরফের হবে না বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি যাতে বাতিল না হয় তার জন্য বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ জানিয়েছেন আদানি পাওয়ারের আধিকারিকরা। যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব কোনও আশ্বাস দেননি।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে একটি মউ চুক্তি স্বাক্ষর হয় আদানি পাওয়ারের। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় স্থাপিত আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে। ২৫ বছর আদানি পাওয়ার থেলে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি। আগামী মাস থেকে ওই বিদক্ষ্যুৎ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানি পাওয়ার কয়লার দাম অন্যান্য সংস্থার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠার পরে শোরগোল পড়ে যায়। চুক্তি পুনর্বিবেচেনার জন্য গত ২৫ জানুয়ারি আদানি পাওয়ারকে চিঠি দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
ওই চিঠি পাওয়ার পরেই গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চুক্তি বাঁচাতে পিডিবির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে আদানি পাওয়ার। কয়েক দফায় ভার্চুয়ালি আলোচনা হয়। রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম, ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দামের চেয়ে যে বেশি দাম দেওয়া সম্ভব হবে না তা জানিয়ে দেওয়া হয় আদানি পাওয়ারকে। এদিন বেলা একটা নাগাদ ঢাকায় আসেন আদানি পাওয়ারের পাঁচ পদস্থ আধিকারিক। বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ঘন্টার বেশি বৈঠক করেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ–সচিব হাবিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ওই দুই বৈঠকেই আশ্বাস দেওয়া হয়, রামপাল ও পায়রার মতো একই দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে দামে কয়লা আমদানি করা হয়, সেই দামই নেওয়া হবে।