নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুশাসনের দৌলতে শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের মতোই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি বাংলাদেশ। রমজানের মুখেই চিনি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় চিনির দাম বেড়েছে ২০ টাকা। যার ফলে খোলাবাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিস্ক্রিয় ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন বাংলাদেশের আম আদমি।
গত কয়েক দিন ধরেই দেশজুড়ে চিনি, গম, পেঁয়াজ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল চলছে। রমজানের সময়ে যাতে দেশে চিনির আকাল দেখা না দেয় তার জন্য পড়শি দেশ ভারতের সামনে ভিক্ষার পাত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। তাতে খানিকটা সাড়া মিলেছে। খয়রাতি সাহায্য হিসাবে বাংলাদেশকে এক লক্ষ টন চিনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। চিনির পাশাপাশি পেঁয়াজও চেয়েছিল ঢাকা। যদিও রমজানের আগে পেঁয়াজ রফতানিতে রাজি হয়নি মোদি সরকার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দামে যখন কার্যত নাভিঃশ্বাস উঠেছে আমজনতার ঠিক তখনই চিনির দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ কেজির প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এর আগে চিনির দাম কখনই কেজি প্রতি ১৬০ টাকা হয়নি। যেভাবে চিনির দাম ঘোড়ার লাফের মতো বেড়ে চলেছে তাতে যে কোনও দিন ডাবল সেঞ্চুরি পার করবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।