আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘মেটা’ কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গের দুঃসময় যেন কিছুতেই কাটছে না। একদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুক’ এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে। যার জেরে শেয়ারবাজারেও ধাক্কা খেয়েছে ‘মেটা’। একদিনেই ১৭ লক্ষ কোটি টাকা খোয়াতে হয়েছে সংস্থাকে। এবার ইউরোপে সংস্থার দুই সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ‘ফেসবুক’ ও ‘ইনস্টাগ্রাম’-এর পরিষেবা বন্ধ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক। তাঁর কথায়, ‘দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুক’ ও ‘ইনস্টাগ্রাম’ বন্ধ হলে সাধারণ মানুষের জীবন আরও উজ্জ্বল ও চমৎকার হবে।’
আচমকাই ইউরোপে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা কেন বন্ধের মুখে? সূত্রের খবর, দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোনও তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সংস্থার কেন্দ্রীয় সার্ভারে স্থানান্তরিত করা যাবে না বলে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডাটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) কর্তৃপক্ষ। এমনকী ওই নির্দেশ অমান্য করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হবে বলে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। আর জিডিপিআরের সেই হুঁশিয়ারিতে কার্যত সিঁদূরে মেঘ দেখছেন ‘মেটা’ কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ।
ইউরোপের বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিনা অনুমতিতেই তাঁদের ইমেল স্ক্যানিং করে গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ফেসবুক। যদিও সেই অভিযোগ মানতে রাজি হননি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির শীর্ষ আধিকারিকরা। গত কয়েক বছর ধরেই মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থার বিরুদ্ধে হিংসা ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ভারত সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে ফেসবুকের অনেক আধিকারিক চাকরিও ছেড়েছেন।