নিজস্ব প্রথিনিধিঃ চলতি সপ্তাহে পরপর দুবার। শুক্রবার রাতে আবারও অচল হয়ে যায় ফেসবুক মালিকানাধীন বেশ কিছু অ্যাপ। এর আগে সোমবার রাতেই প্রায় ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের। কোনওরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই এমন হঠাৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েন মার্ক জুকারবার্গের এই ফেসবুক সংস্থা। সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার রাতে আবারও অচল হয়ে যায় ফেসবুক সংস্থারই বেশ কিছু অ্যাপ যেমন, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এবং ওয়ার্কস্পেস। এই সমস্ত ফটো শেয়ারিং অ্যাপগুলিতে বেশ কয়েক ঘণ্টা কোনও ছবি বা পোস্ট শেয়ার করতে পারেননি গ্রাহকরা। এরপরেই শনিবার সকালে ফেসবুক সংস্থার তরফ থেকে এই পোস্ট করে গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে এদিন রাতেও কয়েক ঘণ্টার জন্য পরিষেবা বিঘ্নিত হয় ফেসবুক সংস্থার বেশ কিছু অ্যাপ যেমন, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এবং ওয়ার্কস্পেসের। বেশ কিছুক্ষণ এই অ্যাপগুলি খোলা যায়নি বলে জানা যায়। পাশাপাশি ডাউনডেটেক্টরে দেখা যায় যে ফেসবুকের মালিকানাধীন ফটো-শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা পড়ছেন গ্রাহকরা। উল্লেখ্য, যেকোনও অ্যাপে বিভ্রাট ট্র্যাক করে এই ডাউনডেটেক্টর। তবে ঠিক কতক্ষন এই অ্যাপগুলির পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ফেসবুক সংস্থা শনিবার সকালে একটি পোস্ট করে লেখেন ‘গত কয়েক ঘণ্টায় যে কেউ আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেনি তাদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ৯:১৫ থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪:৪৪ পর্যন্ত হঠাৎই কোনও পূর্বভাষ না দিয়েই বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক সামাজিক মাধ্যমের পরিষেবা। টানা ৬ ঘণ্টা এইভাবে পরিষেবা বন্ধ থাকে ওই সমস্ত অ্যাপের। এরপরই মঙ্গলবার সকালে সেকথা সংস্থার তরফ থেকেই প্রকাশ করে জানানো হয়, সোমবার রাতে ফেসবুকের ব্যাকবোন রাউটারগুলিতে হঠাৎই কনফিগারেশন পাল্টে যায়। এর ফলে রাউটারগুলির কনফিগারেশন ভুল হয়ে যায়। এর জেরেই ধসে পড়ে এই সমস্ত সামাজিক মাধ্যমের পরিষেবা।