নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। ২০১৮ সালেই মোদি সরকার জানিয়েছিল দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরের দায়ভার তুলে দেওয়া হবে কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে। সেইমতো জয়পুর, লখনউ, আহমেদাবাদ, মেঙ্গালুরু, তিরুবন্তপুরম এবং গুয়াহাটি বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ হবে বলে ঠিক হয়। এবার ওই প্রক্রিয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চলে গেল বেসরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে। গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও উন্নয়ন করবে গৌতম আদানির নিয়ন্ত্রণাধীন আদানি এন্টারপ্রাইজ।
শুক্রবারই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া গুয়াহাটি বিমানবন্দরের যাবতীয় দায়িত্বভার তুলে দেয় নতুন পরিচলন পর্ষদের হাতে। আদানি এন্টারপ্রাইজের হয়ে গুয়াহাটি বিমানবন্দরের চিফ এয়ারপোর্ট অফিসার রমেশ কুমার সমস্ত দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন শুক্রবার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী ৫০ বছরের জন্য গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রণ থাকবে আদানি এন্টারপ্রাইজের হাতেই।
পিটিআই জানিয়েছে, আগামী তিন বছর গুয়াহাটি বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট অথরিটির কর্মী-আধিকারিকরা কাজ করবেন এবং সমস্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিতে সাহায্য করবেন। আদানিদের নিজস্ব কর্মীরাও থাকবেন। তিনবছরের মধ্যে এয়ারপোর্ট অথরিটি তাঁদের কর্মীদের ধাপে ধাপে সরিয়ে নেবে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরের নতুন মহা পরিচালক রমেশ কুমার এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামীদিনে গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোটা দেশের গর্ব হয়ে উঠবে।
কয়েক মাস আগেই পার্লামেন্টের দুই কক্ষে AERA (Amendment) Bill, 2021 পাশ হয়েছে। এই বিলেই বলা হয়েছে আগামীদিনে দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরকে আরও বড় আকারে উন্নীত করা হবে। এই বিলের দ্বারাই বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন ক্ষমতা বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, উপরে উল্লেখিত ৬টি বিমানবন্দরের জন্য আদানি এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দর দিয়েছে। ফলে এই ৬টি বিমানবন্দর তাঁদের হাতেই যাচ্ছে।