নিজস্ব প্রতিনিধি: মাস কয়েক আগেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গুরুতর অসুস্থ রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। যদিও তাঁরই অনুরোধে বেশি দিন হাসপাতালে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁকে। ফলে আপাতত বাড়ি থেকেই চিকিৎসা চলছে বাম আমলের শেষ মুখ্যমন্ত্রীর। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত (সিওপিডি) সমস্যায় ভুগছেন বুদ্ধবাবু। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও শেষপর্যন্ত চিকিৎসক ও পরিবারের চাপে ভোট দেওয়া হয়নি। রবিবার কলকাতা পুরনিগমের ভোটেও তিনি ভোট দিতে পারলেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এদিন অবশ্য পাম অ্যাভিনিউয়ের একটু বুথে ভোট দিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও কন্যা। নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বেরিয়ে মীরা ও সুচেতনা ভট্টাচার্য বললেন, ‘একটি অতি মূল্যবান ভোট হারাল কলকাতা’।
রবিবার বেলা দেড়টা নাগাদ পাম অ্যাভিনিউর বুথে ভোট দিতে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও কন্যা। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা একযোগে জানিয়ে দেন ভোট শান্তিপূর্ণই চলছে। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো এক মানুষের একটি মূল্যবান ভোট হারাল কলকাতা তথা রাজ্যবাসী। এখন কেমন আছেন বুদ্ধবাবু? কন্যা সুচেতনা জানালেন, ভোট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল বাবার। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে চোখ নিয়ে। এখন কার্যত চোখে দেখতে পারেন না তিনি। দৃষ্টিশক্তি খুবই ক্ষীণ। সিওপিডি সমস্যাও আছে। কার্যত সজ্জাশায়ী রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিকমতো বসতেও পারেন না। তবে স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য জানালেন, চোখের সমস্যা থাকলেও বর্তমান সময়ের রাজনীতি নিয়ে সমস্ত খোঁজখবর রাখেন বুদ্ধবাবু। তাঁকে রোজ নিয়ম করে খবরের কাগজ পড়ে শোনাতে হয়। রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চলে প্রায়ই। তবে বেশি কথা হয় সাহিত্য ও রবীন্দ্রনাথ নিয়ে।