নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসির পা রাখা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা চলছে। চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরাও। গত মার্চে শেয়ার বাজারে এলআইসির আইপিও ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছু হঠতে হয়েছিল মোদি সরকারকে। তার পিছনে মুখ্য কারণ ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া নাও মিলতে পারে এমন আশঙ্কাতে এলআইসি’র আইপিও আনার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছিল সরকারের শীর্ষ মহল। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘শেয়ারবাজারে এলআইসি’র আইপিও ছাড়া নিয়ে চলতি সপ্তাহেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেবির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আইপিও আনা হবে কিনা, তার ফয়সালা হতে পারে।’
আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার এলআইসি’র আইপিও বাজারে ছাড়তে পারে বলে কয়েক দিন আগেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে শেয়ারবাজার লাগাতার ধাক্কা খাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন অর্থমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে এলআইসি’র আইপিওকে মূলত দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভেবেছেন তাঁরা।
দেশের শেয়ার বাজারে অন্যতম বৃহৎ পুঁজির আইপিও ছাড়ার আগে আঁটঘাট বেঁধে নামছেন অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই অ্যাঙ্কর ইনভেস্টর হিসেবে ৫০ থেকে ৬০টি বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাকরক, স্যান্ডস ক্যাপিটল, ফিউলিটি ইনভেস্টমেন্ট। তাছাড়া দুবাইয়ের আবু ধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি, সিঙ্গাপুরের জিআইসি সহ সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।