এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

Post Office-এ টাকা রাখতে গেলে মানতেই হবে এইসব নিয়ম

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাতে(Bengal) অনেকেই আছেন যারা Post Office-এ বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে(Small Savings Scheme) টাকা জমান। আবার এমন মানুষও বহু আছেন যারা আয়কর বাঁচানোর(Savings Income Tax) পাশাপাশি সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে টাকা জমান। এবার তাঁদের সবার জন্য বেশ কিছু নয়া নিয়ম লাগু করেছে ভারত সরকার যা সবাইকেই মানতে হবে। সেই নিয়মের মধ্যে প্রথমেই যা বাধ্যতামূলক হচ্ছে তা হল, যারা Post Office-এ ১০ লক্ষ টাকা বা তার ওপরে সঞ্চয় প্রকল্প কিনবেন তাঁদের এবার থেকে আয়ের উৎস জানাতে হবে। যারা ইতিমধ্যেই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা রেখেছেন, তাঁরা যদি সেই টাকা তুলতে চান এবং তা যদি ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয়, তাহলেও সেই ক্ষেত্রে আয়ের উৎস জানাতে হবে। এই নিয়ম লাগুর মূল কারণ হল ১০ লক্ষ টাকা বা তার ওপরের বিনিয়োগকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নি হিসেবে চিহ্নিত করছে ভারতীয় ডাক বিভাগ বা India Post। টাকা পাচার রোখা, কালো টাকা উদ্ধার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ সাহায্য রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নির্দেশেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে India Post।

আরও পড়ুন সব প্রকল্প এক Portal-এ, নাম Social Registry System

India Post যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তাতে গ্রাহকদের ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কম ঝুঁকি, মাঝারি ঝুঁকি ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাহক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ১০ লক্ষ বা তার বেশি টাকার বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা ওই টাকা কোথা থেকে এল, তাঁদের নথি পেশ করতে হবে। যেমন Bank বা Post Office Statement পেশ করতে হবে, যেখানে ওই টাকার অঙ্কের ব্যাপারে তথ্য আছে। কোনও একটি নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে যদি টাকা মেলে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বছরের Income Tax Return দাখিল করতে হবে। যদি কোনও সম্পত্তি বিক্রি বাবদ টাকা আসে, তাহলে পেশ করতে হবে Sale Deed।  এছাড়া প্রয়োজনে সাকসেশন সার্টিফিকেট, গিফট ডিড, লেটার অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রভৃতি নথিও প্রয়োজনে পেশ করা যেতে পারে। যদি কোনও নাবালকের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয় বা সঞ্চয় প্রকল্প কেনা হয়, তাহলে অভিভাবককে সেসব তথ্য পেশ করতে হবে। Joint Account’র ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে উভয় পক্ষকেই নথি পেশ করতে হবে। মোট কথা, যে কোনও উপায়ে প্রমাণ করতে হবে, সঞ্চয়ের টাকা গ্রাহকেরই।

আরও পড়ুন চলতি বছরেই বাংলায় নয়া ৭ জেলা, দ্রুত গঠন চান মুখ্যমন্ত্রী

এর পাশাপাশি কেউ যদি একবারে ১০ লক্ষ টাকা জমা না করেন, বারবার সেই টাকা পোস্ট অফিসে রাখেন, তাহলে কোনও একটি অর্থবর্ষের কোনও একটি মাসে যদি সেই অঙ্ক মোট ১০ লক্ষে পৌঁছয়, তাহলেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ৫০ হাজার টাকার নীচে যদি কেউ টাকা জমা করেন, তাহলে তা কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। যদি তা তার ওপরে হয় ও ১০ লক্ষ টাকার কম হয়, তাহলে তা মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নি। প্রথম ক্ষেত্রে গ্রাহকের KYC অন্তত ৭ বছর অন্তর যাচাই করা হবে। মাঝারি ঝুঁকির ক্ষেত্রে তা ৫ বছর। বেশি ঝুঁকিতে তা দু’বছর। যেকোনও ক্ষেত্রেই গ্রাহককে বিনিয়োগের সময় PAN ও Aadhar Number দিতে হবে। যদি KYC দেওয়ার ব্যাপারে গ্রাহক নিমরাজি হন, তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে অ্যাকাউন্ট। যদি ডাকঘরের কর্মীদের কোনও লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তাঁরা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে তার রিপোর্ট করবেন। ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রেও রিপোর্ট করতে হবে সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসকে। তবে যেকোনও অঙ্কের লগ্নির ক্ষেত্রেই লগ্নিকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বা KYC-কে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে, এপ্রিল মাসের শেষে তাপমাত্রা আরোও বাড়বে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিল আরবিআই

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর