এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গুপ্ত থাকেন বনদুর্গা, নেই কোনও ব্রাহ্মণ

 অন্য ধরনের পুজো দেখার ইচ্ছে থাকলে আপনি চলে আসতে পারেন ‘গুপ্তমণি’ (GUPTAMANI) তে। ঝাড়গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই মন্দির। অদূরেই রয়েছে জঙ্গল। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই মন্দির। কথিত আছে এখানের মন্দির প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরানো। তবে এই মন্দিরে নেই কোনও ব্রাহ্মণ। দেবীর আরাধনা করেন শবররা।

দেবী গুপ্তমণির কিন্তু একটাই নাম নয়। তাঁকে কেউ বলে বনদুর্গা। আবার কারও কাছে তিনি পরিচিত বনদেবী বলে। এই মন্দিরে নেই কোনও প্রতিমা। জনশ্রুতি দেবী এখানে ‘গুপ্ত’ ভাবে থাকেন। তাই নাম ‘গুপ্তমণি’। আলোর উৎস বলতে প্রদীপ আর মোমবাতি। নেই কোনও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। প্রস্তর খণ্ডের ওপরে হয় দেবী আরাধনা। প্রতি বছরে ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে এই মন্দিরে নিবেদন করা হয় ফুল, পলা ও শাড়ি। তারপর শুরু হয় পুজো।

কিন্তু কী করে এই পুজোর শুরু হয়েছিল? জনশ্রুতি, প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে দেবীর স্বপ্নাদেশে এই স্থানের খোঁজ পেয়েছিলেন শবর অধিপতি নন্দলাল ভক্তা। তবে বর্তমানে যে মন্দির দেখা যায়, তা নতুন।

জনশ্রুতি, রাজা মল্লদেব বা শবর অধিপতিই দেবীর নাম দিয়েছিলেন, ‘গুপ্তমণি’। কথিত আছে, রাজ্য রক্ষা এবং গোপন পথে যুদ্ধের জন্য গুপ্তপথ ছিল ঝাড়গ্রামের রাজা নরসিংহ মল্লদেবের। গোপন এই রাস্তা তৈরি করিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বাস, এই গুপ্ত পথ পাহারা দিতেন স্বয়ং দেবী উমা। শবরদের নিজের আয়ত্তে এনেছিলেন ঝাড়গ্রামের এই রাজা। একদিন হারিয়ে যাওয়া হাতি খুঁজতে গিয়ে রাজা দেখতে পান, তাঁর গুপ্তপথের সামনে লতা ও পাতা দিয়ে বাঁধা রয়েছে হাতি। রাজা বুঝতে পারেন, তাঁর গোপন রাস্তার সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন শবরপতি। তারপর রাজা শবরপতিকেই দিয়েছিলেন এই গুপ্ত পথ ‘আগলে’ রাখার দায়িত্ব। দেবীর পূজার্চনার ভার। সেই থেকে ‘মন্ত্র’ ছাড়া ‘ভক্তি’ দিয়েই দেবীর আরাধনা করেন শবর সম্প্রদায়। দেবীর আরধনা করা হয় প্রস্তরের ওপরে ঘট বসিয়ে। জনশ্রুতি, ওই পাথরের আড়ালেই রয়েছে ‘গুপ্তপথ’। এখানে মন্দিরে যখন হয় দেবী আরাধনা। তখন কিছু দূরে আদিবাসীদের এক সম্প্রদায় স্মরণ করেন হুদুড় দুর্গাকে (মহিষাসুর)।

– নিসর্গ নির্যাস

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বানান’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

শান্তনুকে হারাতে মতুয়াদের ওপরেই আস্থা সুমিতার

দাবদাহের মধ্যে ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষীদের

‘মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছে বিজেপি, চাকদা থেকে মমতার বার্তা

ব্যান্ড পার্টি এনেও শুকনো মুখে ফিরতে হল নির্দল প্রার্থীকে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর