নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: অপরাধ একটাই। ২০-৩০ টাকায় সরকার স্যানিটারি প্যাড সরবরাহ করতে পারবে কিনা জানতে চেয়েছিল স্কুলছাত্রীটি। জবাবে প্রশ্নকারী ছাত্রীর উদ্দেশে পদস্থ আমলা (তাও আবার মহিলা) বলেই ফেললেন, ‘তুমি আশা করছে পরিবার পরিকল্পনার জন্য সরকার কনডোমও সরবরাহ করবে?’ একজন দায়িত্ববান আমলার এমন কটাক্ষ ভরা জবাব শুনে তাজ্জব উপস্থিত সবাই। একজন পদস্থ আধিকারিক কীভাবে ভরা সভায় এমন অশালীন মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও নিজের মন্তব্যের জন্য মোটেও অনুতপ্ত নন বিহারের নারী ও শিশু উন্নয়ন করপোরেশনের (Harjot Kaur Bhamra) ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরজ্যোৎ কাউর ভামরা (Harjot Kaur Bhamra)।
গতকাল মঙ্গলবার পটনায় নারী ও শিশু উন্নয়ন করপোরেশনের (Harjot Kaur Bhamra) উদ্যোগে ‘সশক্ত বেটি, সমৃদ্ধ বিহার’ নামে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই কর্মশালায় অংশ নেওয়া এক ছাত্রী মঞ্চে বসা নারী ও শিশু উন্নয়ন করপোরেশনের (Women and Child Development Corporation) ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরজ্যোৎ কাউর ভামরার (Harjot Kaur Bhamra) কাছে জানতে চেয়েছিল, সরকারি উদ্যোগে ২০-৩০ টাকায় স্যানিটারি প্যাড দেওয়া হবে কিনা? প্রশ্ন শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন ভামরা। কটাক্ষের সুরে ওই ছাত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘কালকে তুমি বলবে সরকার জিনস দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। পরের দিন বলবে, সুন্দর জুতোও চাই। তুমি আসলে চাইছ, সরকার পরিবার পরিকল্পনার জন্য কনডোমও বিলি করুক।’
ভামরার তোপের মুখে পড়ে ছাত্রীটি বলার চেষ্টা করতে থাকে, ‘সাধারণ মানুষের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয়। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা দেখার দায়িত্ব সরকারের।’ ছাত্রীর ওই কথা শুনে চটে আরও লাল হয়ে যান ভামরা। উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা আর পরিষেবা পাওয়ার জন্যই তোমরা ভোট দাও? যদি তাই হয়, তাহলে ভোট দেবে না। দেশটাকে পাকিস্তান করবে না।’
