নিজস্ব প্রতিনিধি: মাল নদীতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন নবান্ন (NABANNA)। তলব করা হয়েছে রিপোর্ট। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল কি না বা কোনও গাফিলতি ছিল কি না। এই দুর্ঘটনার পরেই রাজ্য জুড়ে বিসর্জন নিয়ে নয়া নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন। তাঁর নির্দেশ, যেখানে হড়কা বানের সম্ভাবনা বা ঘাট দুর্ঘটনাপ্রবণ- সেখানে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ ঘাটগুলিতে জেলা শাসক ও মহকুমাশাসকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবঘাটেই যেন নিচুস্তরের আধিকারিকরা থাকেন, নির্দেশ এমনও। বিসর্জনের সময় কেও না যেন নদীতে নামে, তাতে কড়া নজরদারি করার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশ, ঝুঁকিপূর্ণ কোনও কাজই করতে দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, জেলাগুলিতে নিরঞ্জন চলবে আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত। ওইদিনে জেলাগুলিতে বিসর্জন কার্নিভাল।
প্রসঙ্গত, সকালের খবর অনুযায়ী প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। রাত ৮টা নাগাদ আচমকা পাহাড়ের উপর থেকে জলের স্রোত নেমে আসে। সেই হড়পা বানে ভেসে যান অনেকে। স্রোতের টানে ভেসে যায় ট্রাকও। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ঘটনায় জখম হয়েছে ১৪ জন। আহতদের চিকিৎসার জন্য মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের নাম যথাক্রমে তপন অধিকারী(৭১), ঊর্মি সাহা(১৩), রুমুর সাহা(৪২), অংশ পণ্ডিত(৮), বিভা দেবী(২৮), সুভাশিষ রাহা(৬৩), স্বর্ণদীপ অধিকারী(২০), সুস্মিতা পোদ্দার (২২)।