নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য মহিলা কমিশন রিপোর্ট তলব করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের কাছে। বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। গত ২০ অক্টোবর মাঝ রাতে টেট (TET) আন্দোলনকারীদের তুলে দিয়েছিল পুলিশ। আইন অনুযায়ী, সূর্যাস্তের পরে কোনও মহিলাকে আটক করা যায় না। সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে চেয়েই তলব করা হয়েছে।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পেরেছেন ওই রাতে টেট মহিলা আন্দোলনকারীদের আটক করা হয়েছিল। তা সত্যি হলে, আইনবিরুদ্ধ কাজ হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, সূর্যাস্তের পরে আটক করা হয়েছিল কি না, তা জানতে চেয়েই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর মাঝ রাতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের বিক্ষোভ তুলে দিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। অভিযোগ, ওই রাতে পুরুষ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মহিলা আন্দোলনকারীদেরকেও আটক করেছিল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করতেই হবে। সরাসরি নিয়োগের দাবি মানা হবে না। উল্লেখ্য, ২০১৪ টেট প্রার্থীদের দাবি সরাসরি নিয়োগ করার। তাঁরা বলেছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাই এবার সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। দাবি ছিল, বয়সসীমা বাড়াতে হবে। পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইন্টারভিউ দিলেও তাঁরা ওই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হননি, ফলে আবার ইন্টারভিউ দিতে হবে। সেই সঙ্গে বলা হয়, বয়সসীমা বাড়ানোর এক্তিয়ার নেই পর্ষদের।