নিজস্ব সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার : ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার প্রশাসন সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে আজ আলিপুরে জেলার অতিরিক্ত সহসচিব বিবেক কুমার,জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা(DM Sumit Gupta) সহ অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক(DM) জানান,প্রায় দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।এজন্য ১৭০০টি শিবির খোলা হয়েছে।সেখানে পর্যাপ্ত জল ও খাদ্যসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। দুদিন সবধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে।তিনটি এনডিএম দল মোতায়েন থাকছে।৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক সহ সিভিল ডিফেন্স,সেচদপ্তরের সঙ্গে প্রশাসন সমন্ময় রয়েছে।জেলাশাসক জানান, প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। গোসাবা,সাগর,নামখানার(Namkhana) মতো উপকুলবর্তী উপদ্রুত অঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দুদিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হবে।ঘন্টায় ৯২ কি:মি বেগে ঘুর্নিঝড়(Cyclone) বইতে পারে বলে আবহওয়া দপ্তর থেকে জানান হয়েছে।ফলে জলোচ্ছাসের থেকে বাঁচাতে কাঁচা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে।সেচ দপ্তরের সঙ্গে সমন্ময় রেখে কাজ চলছে। ২৫তারিখ প্রতিমা বিসজনের জন্য ঘাটগুলোতে বিশেষ সতর্কতা ও নজরদারি থাকবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সারারাত বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। বাঁধগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি জোরালো আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) সোমবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের বরিশালে ল্যান্ডফল করলেও এর জেরে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড় -বৃষ্টি মঙ্গলবার জারি থাকবে। তাই যারা বিভিন্ন সেন্টারের রয়েছেন তারা এখনই বাড়ি ফিরে যাবেন না কারণ ঝড় বৃষ্টি কখন কি অবস্থা নেয় তা কেউ বলতে পারে না আগাম । তাই আপাতত উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন যে আশ্রয়স্থল গুলিতে রয়েছেন সেখানেই থাকুন এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।