নিজস্ব প্রতিনিধি: ভয়ঙ্করভাবে সেতু বিপর্যয়ে রবিবার প্রায় ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে গুজরাতের মোরবি জেলায়। এখনও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আবহে এবার পশ্চিমবঙ্গের ঝুলন্ত সেতুগুলির কী অবস্থা তা জানতে চেয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট চাইল নবান্ন। মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, এ রাজ্যের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ কয়েকটি জেলায় বেশকিছু ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। সেই সেতুগুলির বর্তমান অবস্থা কেমন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। প্রত্যেক জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই সেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু ঝুলন্ত সেতু নয়, রাজ্যে থাকা সমস্ত উড়ালপুলের কবে শেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বর্তমানে উড়ালপুলগুলি কী অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের ঝুলন্ত সেতু ও উড়ালপুলগুলির অবস্থা নিয়ে পূর্ত দফতর মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসবে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের আগেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়-সহ নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন জেলার ইঞ্জিনিয়াররা।
প্রসঙ্গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ গুজরাতের মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু আচমকা ভেঙে পড়ে। সেতু ভেঙে পড়ার সময় সেটির উপর প্রায় ৪০০ মানুষ ছিলেন। ১৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। জখম হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ওই সেতু গত অগাস্ট মাসে মেরামত করা হয়েছিল। এরপর প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে আবার খুলে দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষের জন্য। আর সেখানেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।