নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কুল ইউনিফর্মের(School Uniform) পর এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর(Selp Help Group) সদস্যরা তৈরি করবেন ডাক্তার, নার্স, পুলিস, হোমগার্ড, আশাকর্মী, সিভিল ডিফেন্স, জেলকর্মী এবং কয়েদিদের পোশাকও। বরাবরের মতো এবারও স্বনির্ভর গোষ্টীর সদস্যদের সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। আগামী বছর থেকেই এই পোশাক সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। তাই ১ ডিসেম্বর থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এই নতুন ধরনের পোশাক সেলাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এই নিয়ে বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছর থেকেই স্কুল ইউনিফর্মের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় তৈরিতে স্বনির্ভর হয়ে যাবে বাংলা(Bengal)। এরপর স্বনির্ভর গোষ্ঠী সদস্যদের দিয়েই অন্যান্য পোশাক(Others Dress) বানানোর পথে আরও একধাপ এগোচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন ডিএ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ এলাকার মানুষদের আয় বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তার জন্য যেমন তিনি বিভিন্ন আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন তেমনি জেলায় জেলায় গ্রামের বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার দিকেও জোর দিয়েছেন। এবার সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে ডাক্তার, নার্স, পুলিস, হোমগার্ড, আশাকর্মী, সিভিল ডিফেন্স, জেলকর্মী এবং কয়েদিদের পোশাকও তৈরি করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কেননা এই সব পোষাকের জন্য রাজ্যকে ভিন রাজ্যের বেসরকারি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে যেমন মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় তেমনিই এই রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় না। মুখ্যমন্ত্রী সেই কারণেই চাইছেন এ রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে এই পোষাক তৈরি করে নিতে। তাতে রাজ্যের যেমন খরচ অনেকটাই বাঁচবে তেমনি জেলায় জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও নিয়মিত আয়ের মুখ দেখবেন। তাতে গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতিরও উন্নতি ঘটবে।
আরও পড়ুন অখিলকাণ্ডে বেলপাহাড়ী থেকেই বার্তা দিতে পারেন মমতা
উল্লেখ্য, স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের কাপড় তৈরির জন্য যে উন্নতমানের পাওয়ারলুম প্রয়োজন, তা বসাতে আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যে এই ধরনের শতাধিক পাওয়ারলুম বসেছে রাজ্যে। পাশাপাশি ১.৫০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্টীর ১২ লক্ষ সদস্য স্কুল ইউনিফর্ম সেলাইয়ের কাজ পেয়েছেন। বাকি পোশাক সেলাইয়ের কাজ শুরু হলে গ্রামীণ এলাকায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ পাবেন। এই কাজ করতে পেরে অত্যন্ত খুশি গ্রাম বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। বিশেষ করে কোভিডকালের পরে নিয়মিত কাজ পাওয়ার খবরে তাঁরা বেশ আশাবাদী নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য।