এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভালবাসাকেও হার মানতে হয় মৃত্যুর কাছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীর্ঘ ২০ দিনের লড়াই শেষে থেমে গিয়েছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) জিয়নকাঠি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে একবার নয় দু বার মারণব্যাধি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয়ী হন অভিনেত্রী। কিন্তু এবার আর ভাগ্য তাঁর সহায় হল না। জীবন যুদ্ধে হার মানলেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে ইশ্বরের বিরুদ্ধে অসম এই লড়াইয়ে কোথাও যেন হার মেনে গেল ঐন্দ্রিলা এব্ং সব্যসাচীর রূপকথার ভালবাসা। গত ৩১ অক্টোবর সোমবার রাতে ছিল অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) জন্মদিন। নিজের ভালোবাসার মানুষকে সেদিন শেষ বারের মত জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতে সব্যসাচীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্যাপশনে ঐন্দ্রিলা তাঁকে নিজের “বেঁচে থাকার কারন” বলে উল্লেখ করেছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই সব্যসাচী প্রান দিয়ে আগলে রেখেছিলেন অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর সঙ্গে অসম এই লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলা জীবন দিয়ে লড়লেও মানসিক ভাবে প্রতি মুহূর্তে তাঁর এই লড়াইয়ে পাশে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী।

২০১৫ সালে প্রথমবার অস্থিমজ্জার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। দীর্ঘ লড়াই শেষে ২০১৬ সালে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন ঐন্দ্রিলা । এরপর ২০২১ সালে আবারও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। এবং সেইবারও অসম্ভব মনের জোরে মৃত্যুকে জয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। আর প্রতিবারই জীবনযুদ্ধে ঐন্দ্রিলা পাশে পেয়েছিলেন সব্যসাচীকে। দ্বিতীয়বার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন সব্যসাচী কীভাবে তাঁকে লড়াই করার সাহস জুগিয়ে চলেছেন। 

এইবারও ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর কঠিন এই লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলাকে একা ছাড়েননি সব্যসাচী। হাসপাতালে ঐন্দ্রিলার কেবিনের বাইরে টানা ২০ দিন তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় থেকেছেন সব্যসাচী। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে অভিনেতা লিখেছিলেন “নিজে হাতে করে ওকে নিয়ে এসেছি, নিজে হাতে করে ফিরিয়ে নিয়ে যাব”। শুধু তাই নয়, ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে দিনে তিনবার করে অভিনেত্রীর সঙ্গে তিনি গল্প করেন বলেও জানিয়েছিলেন সব্যসাচী। এখানেই না থেমে যতবার অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে সব্যসাচী জানিয়েছেন “ও আছে ভীষণ ভাবে আছে”।

সব্যসাচীর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরাও। অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুকে লিখেছিলেন, “এরাই ভালবাসতে জানে, আর আমরা শুধু ফেসবুক করেই গেলাম লজ্জা লাগে আয়নার সামনে দাড়াতে”। এর প্রতিক্রিয়ায় সব্যসাচী জানিয়েছিলেন যে তিনি কোন অস্বাভাবিক কাজ করেননি বরং যেটা স্বাভাবিক সেটাই করছেন বাড়িতে মা অসুস্থ হলে বাবা যেভাবে পাশে থাকেন সে ভাবেই তিনিও ঐন্দ্রিলার পাশে রয়েছেন।  

কিন্তু শেষপর্যন্ত ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নিজের ভালোবাসাকে ফিরিয়ে আনার এই লড়াইটা জেতা হলনা সব্যসাচীর। শুক্রবার রাত থেকেই অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সহকর্মী অনুরাগী ও অভিনেত্রীর ভক্তদের কাছে মিরাকলের জন্য প্রার্থনা জানানোর অনুরোধ করেন অভিনেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হল না কোনও মিরাকল। রবিবার মধ্য রাতেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার খবর জানিয়ে করা সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দেন অভিনেতা। তখনই আশঙ্কার প্রহর গুনেছিলেন অনুরাগীরা। এরপর রবিবার সকালেই খবর আসে গত কাল রাতে পর পর ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। অবশেষে রবিবার দুপুরে হার মানলেন সব্যসাচীর আদরের ফিনিক্স পাখি।

প্রতিবার ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার পর অনুরাগী থেকে সহকর্মীরা প্রত্যেকেই তাকিয়ে থাকতেন সব্যসাচীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের দিকে। ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়ার পর সেই সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করলেন সব্যসাচী চৌধুরী। ফেসবুক থেকে নিজের প্রোফাইল সরিয়ে নিলেন তিনি। কারন যাকে নিয়ে তিনি লিখতেন সেই ঐন্দ্রিলাই তো আর নেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাতে হাত রেখে বিদেশ ভ্রমণ, কিন্তু ২ বছরের মধ্যেই সব শেষ, প্রেম ভাঙল আদিত্য-অনন্যার

মেয়েকে দাদা অয়ন মুখোপাধ্যায়ের দায়িত্বে রেখে নিউইয়র্কে চললেন আলিয়া, কারণ কী?

অনলাইন ওটিপি শেয়ার করে প্রায় ৪.৯৮ লক্ষ টাকা খোয়ালেন রাকেশ বেদির স্ত্রী

কনসার্টে সুনিধিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল বোতল, ভক্তকে উচিত শিক্ষা গায়িকার

আমার হার্ট অ্যাটাকের কারণ কোভিড ভ্যাক্সিন নয়তো! বিস্ফোরক শ্রেয়াস তালপাড়ে

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেখেই ‘ফলো’ দুষ্কৃতীদের, রেস্তোরাঁয় ঢুকে ইকুয়েডর সুন্দরীকে খুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর