নিজস্ব প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর দেশ ভারত। আর বাংলার রাজনীতি মানেই সৌজন্য। তবে সাম্প্রতিককালে বারবার চিড় ধরেছিল শাসক-বিরোধী সৌজন্যে। সম্প্রতি একাধিকবার দেখা গিয়েছে ফিরে এসেছে সেই সৌজন্য। আবারও নজির গড়ল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) ইচ্ছা যেন মান্যতা পেল।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আগামিকাল সমস্ত দলের বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হবে আলিপুর জেল মিউজিয়াম (ALIPORE MUSEUM)। সেই ‘ইন্ডিপেন্ডেস মিউজিয়াম’ পরিদর্শন করবেন বিধায়করা। জানা গিয়েছে, এই জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলে সেই বাস বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা থেকে রওনা দেবে আলিপুর মিউজিয়ামের উদ্দেশ্যে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছেই পূর্ণতা পেতে চলেছে আগামিকাল। ফিরহাদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছানুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাস্টারপ্ল্যান, মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন কেন্দ্রের সঙ্গে
পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়কদের দিকে এগিয়ে গিয়ে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে নমস্কার করেছিলেন। বিজেপি বিধায়করাও প্রতি নমস্কার করেছিলেন। আবার রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পেয়েছিলেন পেছনের সারিতে বসে আছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উঠে পেছনে গিয়ে হাত ধরে সামনে নিয়ে এসেছিলেন ‘বিমান দা’কে। এগিয়ে দিয়েছিলেন চেয়ার। সংবিধান দিবসে বিধানসভায় নিজের কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সহ তিন বিজেপি বিধায়ককে। শুভেন্দুকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। তারপরে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় সব দলের বিধায়করা যাচ্ছেন আলিপুর মিউজিয়াম পরিদর্শনে। বাংলার রাজনীতিতে এই ‘সৌজন্য’ই কাম্য। উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।