নিজস্ব প্রতিনিধি: কার কী চাই, সেটা সরকার কীভাবে জানতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যখন নবান্নের(Nabanna) আধিকারিকেরা হিমসিম খাচ্ছেন ঠিক তখনই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। জন্ম নিয়েছিল নতুন এক সরকারি পরিষেবা যেখানে আমজনতা তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন নির্ভয়ে, নিঃসংকোচে, নির্বিবাদে। এখনও নবান্নের আনাচেকানাচে কান পাতলে এই কথা শোনা যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই সমস্যার সমাধানের পরিষেবাই এখন বার বার ভারত সেরার তকমা আদায় করে চলেছে। সেই পরিষেবাটির নাম ‘দুয়ারে সরকার’(Duyare Sarkar)। এর এগেই এই সরকারি পরিষেবা বা কর্মসূচি দেশ-বিদেশের দৃষ্টি যে শুধু আকর্ষণই করে নিয়েছে তাই নয়, বেশ কিছু খেতাবও পেয়ে গিয়েছে। এবার সেই কর্মসূচিই ভারত সেরা(Best in India) সরকারি পরিষাবার খেতাব পেতে চলেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি রাজ্যকে সেই পুরষ্কার প্রদান করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু(Draupadi Murmu)।
আরও পড়ুন জিতলেন মমতাই, শাহী বৈঠকের পরে আধার নিয়ে পদক্ষেপ কেন্দ্রের
২০২০ সালে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পটির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে সরকারি পরিষেবার সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ির কাছে পৌঁছে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ক্যাম্প করে সরকারি পরিষেবা বণ্টন করা হয়। সেই ক্যাম্পে এসে রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জানানোর সুযোগ থাকে রাজ্যবাসীর জন্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, জয় জোহর, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আমজনতা এই কর্মসূচিতে এসে আবেদন জানাতে পারেন। তারপর সেই আবেদন খতিয়ে দেখে তাতে ছাড়পত্র দেয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন সিঙ্গুরে মমতাই ঠিক, বুঝিয়ে দিলেন নরেন্দ্র, ধাক্কা বামেদের
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বহু মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে সরকারি সুবিধা পাওযার জন্য আবেদন করতে পারছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারে এই প্রকল্পই জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি আদায় করে নিল। আগেই এই কর্মসূচি দেশের নানান মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছিল। বেশ কিছুই বেসরকারি পুরষ্কারও পেয়েছিল। আর এবার তো মোদি সরকারের হাত ধরে দেশের সেরা সরকারি কর্মসূচির মর্যাদা পেয়ে গেল। কত সংখ্যক মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ও কত সংখ্যক মানুষ সেখান থেকে পরিষেবা পেয়েছেন সেটা খতিয়ে দেখেই এই কর্মসূচিকে দেশের সেরা সরকারি কর্মসূচির তকমা দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার বিরোধী শিবিরের কাছেও এই স্বীকৃতি বেশ বড়সড় ধাক্কা হয়ে উঠতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে। বিশেষ করে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। কেননা মমতার কর্মসূচিকে যে মোদি সরকার দেশের সেরার তকমা দিচ্ছে সেই মোদির দলের নেতারা এখানে এবার কোন মুখে মমতাকে গাল পাড়বেন সেটাই তাঁরা এখন ভেবে পাচ্ছেন না।