এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চাকরি তো গেল, এবার ১৭০০ পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে

কৌশিক দে সরকার: বাংলায়(Bengal) সৎ পথে থেকে সরকারি চাকরি পাওয়া বেশ শক্ত। আর এখন যা হাল তাতে ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরি পেলেও তা ধরে রাখা আরও শক্ত। এই যেমন এখন আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য শিক্ষা দফতর(Education Department) স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) ১৬৯৪ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি কেড়ে নিতে চলেছে। কেননা, আদালতে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে এই প্রার্থীদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই চাকরিপ্রাপকদের সম্পর্কে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের খোঁজ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তদন্ত করছিল সিবিআই(CBI)-ও। সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই তদন্তে নেমে ওই ১৬৯৪ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির সন্ধান পায়। গত ২২ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শিক্ষা দফতরকে ওই ১৬৯৪ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন স্কুল শিক্ষা দফতরকে। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার শিক্ষা দফতর তাঁদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই যে প্রায় ১৭০০ জনের চাকরি যেতে বসেছে তার জেরে খুব কম করেও সমসংখ্যক পরিবারের দায়দায়িত্ব কে নেবে? পরিবারগুলির চলবে কীভাবে? কী হবে তাঁদের ভবিষ্যত?

আরও পড়ুন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব, বাড়ছে উদ্বেগ

২০১৮ সালে এই নিয়োগে কারচুপি নিয়ে মামলা হয়েছিল। লিপিকা সাধুখাঁ সেই মামলা দায়ের করেছিলেন। লিপিকা স্কুল সার্ভিসের গ্রুপ-ডি পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৬ সালের আরএলএসটির ওয়েটিং লিস্টে তাঁর নাম তিন নম্বরে থাকা সত্ত্বেও তিনি ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। সিবিআই ওই ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে যে হার্ডডিস্ক উদ্ধার করে, তাতে দেখা যায়, গ্রুপ ডি-এর ১৬৯৪ জন প্রার্থীর ওএমআর শিটের নম্বরে গরমিল করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সেই মামলার শুনানিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৬৯৪ জনের নাম সুপারিশ করেছিল। সেই অনুযায়ী পর্ষদ ১৬৯৪ জনকেই নিয়োগ দেয়। এই তথ্য পেয়ে বিচারপতি বসু মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন, এই প্রার্থীদের তিনি বরখাস্ত করার পক্ষে। তবে, শেষপর্যন্ত লিখিত নির্দেশে তিনি এই প্রার্থীদের বক্তব্য পেশের একটি সুযোগ দেন। ওই প্রার্থীদের তালিকা কমিশনকে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষাদপ্তর এবং কমিশনের তরফে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ ছিল, সেই তালিকা দেখে প্রার্থীদের মামলার নোটিসের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়ে ওয়াকিবহাল করবেন ডিআইরা। সেই অনুযায়ীই ডিআইরা পদক্ষেপ করছেন। নোটিস পাঠানো হয়েছে চাকরি খোয়াতে যাওয়া ১৬৯৪জনকে।

আরও পড়ুন জোকা- তারাতলা মেট্রো উদ্বোধনে আমন্ত্রিত মোদি- মমতা

যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করাই উচিত, স্বাভাবিক অভিমত সেটাই বলে। আদালতও সেই পথেই হাঁটা দিয়েছে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে যারা চাকরি হারাচ্ছেন তাঁরা ইতিমধ্যেই ৩-৪ বছর চাকরি করে নিয়েছেন। কেউ কেউ তারও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন। এখন এদের যখন চাকরি চলে যাচ্ছে তখন কিন্তু এদের পরিবারও নিদারুণ ভাবে প্রভাবিত হতে চলেছে। এদের ওপর যারা নির্ভরশীল, সেই সব বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান এরা সবাই কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছেন। এরা তো কোনও দোষ করেননি, কিন্তু এদের ফল ভুগতে হবে। আর এই ঘটনায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন মেয়েরা। কেননা অনেক মেয়েরই বিয়ে হয়েছে এই সব চাকরি হারাতে চলা ছেলেদের সঙ্গে। সেই সব বিয়ে এবার টিকবে তো? মেয়েটির জীবন যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আদালত তা পূরণ করতে পারবে তো? চাকরি যাওয়ার জন্য এই ১৭০০ পরিবারের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। যার ধাক্কা সরাসরি পড়বে বাজার অর্থনীতিও। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা, চাকরি হারানো মানুষগুলি হতাশায় ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন কী হবে? এর থেকেও বড় কথা আগামী দিনে যদি আদালত নির্দেশ দেয় এতদিন পর্যন্ত পাওয়া বেতন কড়ায়গণ্ডায় ফেরত দিতে তখন সবাই সেই টাকা দিতে পারবেন তো? সেই টাকা ফেরত দিতে গিয়ে যদি পরিবার নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয় তখন কী হবে? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। যদিও আদালতের রায় ও পদক্ষেপকে অনেক বেশি মানুষ সাধুবাদ ও স্বাগতও জানাচ্ছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস

ব্রিগেডে উদ্ধার মাঝবয়সী মহিলার আধপোড়া দেহ, তদন্তে পুলিশ

সকাল থেকেই চড়ছে পারদ! আট জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা

এপ্রিলের কাজের জন্য বেতন পেলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরা

হাইকোর্টে ফের  জামিনের আবেদন খারিজ, জেলেই থাকতে হবে পার্থকে

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর