নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতকে স্বাধীন করার পিছনে আজাদ হিন্দ বাহিনীর অবদান বা ভূমিকার কথা সকলের জানা। হয়তো কম মানুষই জানেন, যে এই বাহিনীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক ছিল। সেই ব্যাঙ্কের নাম আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৩-এ। ব্যাঙ্কের ১০ টাকার কয়েন থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকার নোট ছিল। আর এক লক্ষ টাকার নোটে ছাপা হয়েছিল নেতাজির ছবি, বাঁদিকে। ডানদিকে ভারতের মানচিত্র, হিন্দিতে লেখা স্বতন্ত্র ভারত।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর আত্মপ্রকাশ বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর হাত ধরে টোকিওতে। বাহিনী তৈরি হয়েছিল দুইবার। প্রথমবার ১৯৪২-য়ে আজাদ হিন্দ বাহিনী তৈরি হলেও তা ভেঙে যায়। পরে সুভাষ চন্দ্র বসু দক্ষিণ এশিয়ার বসবাসকারী ভারতীয়দের সাহায্যে আবার আইএনএ গঠন করেন এবং বাহিনীর নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। বাহিনীর একটি মহিলা ইউনিট ছিল। ফৌজের মোট সেনা সংখ্যা সাড়ে আট হাজার। ১৯৪৩-এ ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বোচ্চ সেনাপতি হিসেবে স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকার গঠন করেন সুভাষ চন্দ্র বসু।তিনিই ছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান, ক্রোয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, ইতালি এবং বার্মা। স্বীকৃতি দিয়েছিল আরও কয়েকটি দেশ।
এই বাহিনী প্রসঙ্গে একটা ঘটনার উল্লেখ না করলেই নয়। মুক্তি পাগল আজাদ হিন্দ বাহিনী তরুণ-তরুণীদের রক্ত মেশানো হয়েছিল একটি পাত্রে। সেখান থেকে আত্মদানের অঙ্গীকার পত্রে তারা সই করেছিলেন। কোনও জাতধর্মের বিচার ছিল না সে রক্তে।