আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শূকরকে কীভাবে মারতে হয় তা কম-বেশি সকলের জানা। শূকরকে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক দণ্ডের ছ্যাঁকা। সেই দণ্ডে নিমেষেই ঘায়েল হয় সেই। তারপর কষাই তাকে মনের সুখে কাটা ছেঁড়া করে। হংকন থেকে এল উল্টো খবর।
এক কসাই একটি শূকরকে মারতে তার গায়ে বৈদ্যুতিক দণ্ড স্পর্শ করে। সঙ্গে সঙ্গে সে জ্ঞান হারায়। কসাই এবার তার ছুরি-চাকুতে ধার দিয়ে কাটার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলা শূকরটিকে কাটবে বলে নিয়ে এসেছে। সবে গলায় কোপ দিতে যাবে। অমনি সেই শূকরের জ্ঞান ফিরল। দে ছুট। কসাই কোপ মারল নিজের হাতে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অনেকক্ষণ কোনও সাড়া শব্দ না হওয়ায় কসাই খানার কর্মীরা তাঁর খোঁজ শুরু করে। দেখে মাটিতে তাঁর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনায় কসাই খানায় শোকের ছায়া। হংকং শ্রম দফতর থেকে ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। হত কসাই খানার পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করা হয়েছে সমবেদনা। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে বা তদন্তে পরিকাঠামো সংক্রান্ত ত্রুটি ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কিছুই তদন্ত সাপেক্ষ। ঘটনাটি দুঃখের। তবে মজারও।
খবর সিএনএন-য়ের। ঘটনা হংকংয়ের সেউং শুই কসাই খানায়।