নিজস্ব প্রতিনিধি, ইন্দোর: এক হাডহিম করা ঘটনার সাক্ষী ইন্দোরের একটি আদালত।
নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্টের এক মহিলা সদস্য আদালতকক্ষে ঢুকে মামলার শুনানি মোবাইলে রেকর্ডিং করছিলেন। বিষয়টি এজলাসে উপস্থিত কয়েকজনের নজরে পড়লে তারা অত্যন্ত গোপনে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে মহিলাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম সনু মানসুরী। পুলিশ তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। জেরায় সনু জানিয়েছে, তাঁর আইনজীবী নূরজাহান খানের নির্দেশেই সে এই কাজ করছিল। মোবাইলে রেকর্ডিং করা ভিডিয়ো পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে। এর জন্য ওই আইনজীবী সনুকে তিন লক্ষ টাকা নগদও দেয়।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের জেলা আদালতে ৪২ নম্বর ঘরে, শনিবার। ৪২ নম্বর ঘরে চলছিল বজরং দলের নেতা তনু শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি। জজের সামনে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-পাল্টা সওয়াল ঘর তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সময় সনু তাঁর কাছে থাকা মোবাইলে তপ্ত শুনানির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছিলেন। আচমকাই সেটা নজরে পড়ে অভিযুক্ত তনুর দুই আইনজীবী অমিত পাণ্ডে এবং সুনীল বিশ্বকর্মার। তারা যাবতীয় গোপনীয়তা বজায় রেখে কক্ষে উপস্থিত কয়েকজন মহিলা আইনজীবীকে জানালে তারা অত্যন্ত সন্তর্পণে সনুর কাছে হাজির হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে ঘিরে রাখে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে সনুকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আইনজীবীর ব্যাপারেও তারা পদক্ষেপ করবে।