নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’র বিরুদ্ধে মোদি সরকারের খড়গহস্ত হওয়ার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভারতে ব্যবসা চালানো বিদেশি সংস্থার কর্ণধাররা। ‘বিবিসি’র নয়াদিল্লি ও মুম্বইয়ের কার্যালয়ে টানা তিনদিন ধরে আয়কর দফতরের তল্লাশির খবরে এতটাই উদ্বিগ্ন ইলন মাস্ক যে তিনি ভারতে থাকা টুইটারের তিনটি কার্যালয়ের মধ্যে দুটিই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই দুই দফতরের কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
টুইটার অধিগ্রহণের পরেই সংস্থাকে চলতি বছরের মধ্যে লাভজনক করার জন্য নির্দয়ভাবে গোটা বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন ইলন মাস্ক। ওই ছাঁটাইয়ের কোপ এসে পড়েছিল ভারতে সংস্থার দফতরে কর্মীদের উপরেও। ভারতে থাকা টুইটারের ২০০-র বেশি কর্মীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সমস্থার নযাদিল্লি, মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর দফতরে কর্মরত বাকিদের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও টুইটার কর্ণধার ভীত-সন্ত্রস্ত ভারতীয় কর্মীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভয় পাওয়ার কিচু নেই। তাঁদের চাকরি সুরক্ষিতই থাকছে।
বৃহস্পতিবার টুইটারের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, খরচে রাশ টানতেই সংস্থার নয়াদিল্লি ও মুম্বইয়ের দফতর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুর দফতরটি চালু থাকবে। যে দুই দফতর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেখানকার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ভাড়া পরিশোধ করতে না পেরে সানফ্রান্সিসকো সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। এমনকী পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে না পারায় একাধিক মামলার সম্মুখীনও হতে হয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমটিকে।