নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আশঙ্কাই সত্যি হলো। মানহানি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। আজ শুক্রবার দুপুরে লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল ২৩ মার্চ থেকেই ওয়ানাডের সাংসদ হিসেবে রাহুল গান্দেধির সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশেই রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সুরাত আদালতের রায় প্রকাশের পরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের এক প্রতিনিধি দল। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করার কথা জানানো হয়েছে।
‘মোদি’ পদবি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবারই সুরাতের এক আদালত ফৌজদারি মানহানি মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছিল। যদিও উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য ৩০ দিনের জন্য বিচারক ওই সাজা স্থগিত রেখেছিলেন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, দুই বছরের বেশি জেল হলে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। রাহুল গান্ধি যাতে উচ্চ আদালতে গিয়ে সাজার ওপরে স্থগিতাদেশ আনার সুযোগ না পান তার জন্য তড়িঘড়িই তাঁর সাংসদপদ খারিজের দাবিতে সুর চড়িয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব।
সাজা ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই এদিন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদপদ খারিজ করে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপির চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই লোকসভার অধ্যক্ষ রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করে দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ‘আইন মেনেই রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদ পদ খারিজ করতে গিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। যার ফলে ওয়ানাডের প্রাক্তন সাংসদই রাজনৈতিক মাইলেজ পেয়ে যাবেন।