আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্য করে বিচারের ক্ষমতা হারালেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বেগম কামারুন্নাহার। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকা জারি করে তাঁর ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আইন মন্ত্রককেও চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে সিদ্ধান্তের কথা।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চের তরফে জারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিচারক কামরুন্নাহা রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আদালতে বসতে পারবেন না। সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হল তাঁর ফৌজদারী বিচার ক্ষমতা।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার রায়। গত বৃহস্পতিবার রেইনট্রি হোটেলে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রায় দিতে গিয়ে পাঁচ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহার। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, ওই দুই ছাত্রী যৌন সংসর্গে রীতিমতো অভ্যস্ত। স্বেচ্ছায় হোটেলে গিয়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন।’ পুলিশের জন্য তাঁর নির্দেশ ছিল, ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরে কোনও ধর্ষণের অভিযোগ রুজু করা যাবে না।
এই রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল সংশ্লিষ্ট মহল। বিচারপতির এমন বক্তব্য অসাংবিধানিক বলে শনিবার প্রতিক্রিয়া জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে ওই বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবেও বলে জানান তিনি। রবিবার জারি হল সেই নির্দেশিকা।