এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এ কী হাল বিজেপি! প্রশ্নের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু

নিজস্ব প্রতিনিধি: যিনি একুশের মহাযুদ্ধে হাঁক পেড়েছিলেন ‘আব কে বার ২০০ পার’, তিনিই এবার বাংলায়(Bengal) এসে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন ‘৩৫’। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণের পথে প্রশ্ন তুলে দিল ‘মন কী বাত’(Maan Ki Baat)। যে দৃশ্য বাংলাজুড়ে গতকাল চোখে পড়েছে তা খণ্ডচিত্র নয়, বরঞ্চ বাংলার বুকে বিজেপির(BJP) বাস্তব চিত্র। আর তার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। অস্বস্তির আরও বড় কারণ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানা ছবি। কার্যত এই সব ছবির দৌলতেই এখন মুখ লুকিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলার পদ্ম পার্টির নেতারা। কেননা, ঢাক ঢোল পিটিয়ে ‘মন কী বাত’ শোনাতে গিয়ে বেআব্রু হয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশা।

আরও পড়ুন সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে নয়া লড়াইয়ে মমতা ও মোদির সরকার

গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) ১০০তম ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারিত হয়েছে দেশজুড়ে নানা টিভি ও রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে। বাংলার বুকেও কার্যত রাজ্যের সব ব্লকেই এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য রাজকীয় আয়োজন করা হয়েছিল পদ্মপার্টির তরফে। রাজ্যে থাকা দলের সাংসদ ও বিধায়কেরা দলের নেতা থেকে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সেই অনুষ্ঠান দেখেছেন জায়েন্ট স্ক্রিনে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান চলার সময়েই অর্থাৎ ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যখন তাঁর বক্তব্য রাখছেন তখনই কিনা দেখা যাচ্ছে বিজেপির আয়োজিত অনুষ্ঠানে শয়ে শয়ে চেয়ার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ ভিড়ই হয়নি সেই সব অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য। এই ছবি ধরা পড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সুকান্তের বালুরঘাট এবং উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সিংহ ভাগ জায়গায়। বেলা সাড়ে ১০টার পরেও বহু চেয়ার ফাঁকা ছিল প্রায় সর্বত্র। আর সেই সব ছবি এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যার জেরে সুকান্ত ও শুভেন্দু পড়ে গিয়েছেন বড়সড় প্রশ্নের মুখে। কার্যত এই ছবি তুলে ধরে এখন তৃণমূল তো বটেই, বাম ও কংগ্রেসও দাবি করছে, এটাই বাংলায় বিজেপির বর্তমান বেহাল দশার ছবি।

আরও পড়ুন ১০০ দিনের কাজের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ন্যায়পালদের নির্দেশ

এক কথায় বলতে গেলে মোদির ১০০তম ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান চূড়ান্ত ফ্লপ বাংলার বুকে। জায়গায় জায়গায় অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে শয়ে শয়ে চেয়ার যেমন ফাঁকা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তেমনি বেশির ভাগ জায়গায় হাতেগোনা নেতা-কর্মী নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হয়েছে বলে দাবি বিজেপিরই একাংশের। সব থেকে বড় কথা উনিশ বা একুশের ভোটে কার্যত বিজেপির গড় হিসাবে যে সব এলাকা উঠে এসেছিল সেই সব এলাকাতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। তা সে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার হোক কী আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি হোক কী দার্জিলিং, রায়গঞ্জ হোক কী মালদা। দক্ষিণেও ছবি ছিল একই। পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া, বনগাঁ থেকে রানাঘাট, হুগলি থেকে আসানসোল। সর্বত্রই Superduper Flop নরেন্দ্র মোদির ‘মন কী বাত’। তাহলে ’৩৫’ আসবে কোথা থেকে? প্রশ্নের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর