নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় যত গড়াচ্ছে বাংলার বুকে হাহাকার যেন ততই বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস(Coromondol Express Accident)। সেই দুর্ঘটনায় সরকারি ভাবে মৃতের(Death) সংখ্যা ২৬১-তে পৌঁছেছে। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে ২৮০টির মতো দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই সব থেকে বেশি উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল যে বাংলার(Bengal) ঠিক কতজন এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। সেই তালিকা শনিবার দুপুরে প্রাথমিক ভাবে সামনে এনেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই তালিকাই যে চূড়ান্ত তা কিন্তু নয়। রাজ্যবাসীর মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু বাড়তে পারে। কেননা এখনও পর্যন্ত অনেকেই নিখোঁজ(Missing)। তাঁরা বেঁচে আছেন না মারা গিয়েছেন সেই তথ্যও পাচ্ছেন না তাঁদের পরিজনেরা। অনেক দেহ আবার শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। আবার অনেকে এখনও বালেশ্বরে গিয়ে পৌঁছাতেই পারেনি দেহ শনাক্তের জন্য। তাই সরকারি ভাবেও জানতে পারা যাচ্ছে না মৃতদের পরিচয়। তবে প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের ৩১জন বাসিন্দার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে রেলের তরফে। মৃতদের সকলেই পুরুষ।
আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ Apollo’র শীর্ষকর্তা
রেলের তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার যে ৩১জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে তার বেশিরভাগই দক্ষিন ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার। সেই জেলার ১২জন মারা গিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। এরা হলেন মইজুদ্দিন শেখ, সামসুদ্দিন সরদার, হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন, দিবাকর গায়েন, বিকাশ হালদার, সঞ্জয় হালদার, সমর সরদার, সৌরভ রায়, তপন দাস, হালিম মোল্লা ও আসিফ আলি গাজি। পূর্ব বর্ধমান জেলার ৩জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এরা হলেন সাফিক কাজি, সাফিক শেখ ও ছট্টু সরদার। হাওড়া, জলপাইগুড়ি ও ঝাড়গ্রাম জেলার ২জন করে মারা যাওয়ার খবর রেলের তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে। হাওড়া জেলার দুই বাসিন্দা পিনাকি মণ্ডল ও শেখ মুন্না এই দুর্ঘটনায় যেমন মারা গিয়েছেন তেমনি মারা গিয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার শিবশঙ্কর মাইতি ও শঙ্কর নায়েক। জলপাইগুড়ি জেলার যে ২জন মারা গিয়েছেন তাঁরা হলেন সাগর খৈরা ও তরুণ রায়। পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১জন করে মারা গিয়েছেন। এরা হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশান্ত সরকার, মালদার বাসিন্দা মাসরেকুল আলম ও দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা সুমন রায়।